
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যবাসীর মনে অনিশ্চয়তার ঘন কালো মেঘ জমে ছিল, মহামারীর আবহে আদৌ কি এবার পুজো হবে, না শূন্য থেকে যাবে ঠাকুর দালান। অবশেষে সব আশঙ্কা দূরে সরিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন পুজো হচ্ছে। করোনারসুরকে নিধন করতেই ‘মা’ আসছে স্বপরিবারে। মাতৃবন্দনার মধ্যে দিয়েই এবার মারণ ভাইরাসকে জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে বাঙালি। তাই সংক্রমণ ঠেকিয়ে করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাঙালি মেতে উঠবে এবার তার চিরান্তন উৎসবে।
এবার কোভিডের প্রকোপে বেশ ভালই ধাক্কা খেয়েছে বাংলা তথা দেশের অর্থনীতি। তার জেরে আগে থেকেই কলকাতা তথা রাজ্যের অনেক পুজো কমিটিই বাজেট কাটছাঁট করে পুজোর কথা ভাবছে। কোনওরকম নমঃ নমঃ করে পুজোর পক্ষে অনেকে। কিন্তু এভাবে পুজো করলে যে পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অর্থনীতির চাকা যে ঘুরবে না তা বেশ ভালই জানেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই বৃহত্তর অর্থনীতির কথা ভেবেই সম্ভবত তিনি পুজোর জন্য এবার সবাইকে উৎসাহীত করতেই এদিন বিশেষ বার্তা দিয়ে দিলেন পুজো সংগঠকদের যে পুজো হচ্ছেই।
আরও পড়ুন: করোনা মুক্ত দিনহাটা গড়ে তুলতে রাজনীতি ভুলে সচেতনতা প্রচারাভিযানে বাম কংগ্রেস জোট ও তৃণমূল
করোনা আর লকডাউনের এই আবহে পুজো হবে কীভাবে! আদৌ কী মিলবে পুজোর অনুমতি? পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে যে বৃহৎ অর্থনীতি তার চাকা কী ঘুরবে? পুজোর সঙ্গে যাদের সারা বছরের আয়ব্যায় জড়িত তাঁরা কী করবেন? সব প্রশ্নের উত্তর বুধবার নবান্ন থেকেই দিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিলেন, যত আসুক করোনা, যত আসুক আমফান, বাঙালির মাতৃবন্দনায় ছেদ পড়বে না। তাই পুজো হচ্ছেই। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, ‘এখন সচেতন হয়ে থাকতে হবে। ভাল করে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সুস্থ থাকতে হবে। সামনে তো পুজো। পুজো ভাল করে করতে হবে তো। সংক্রমণ কমাতে এখন থেকেই ক্লাবগুলি ভূমিকা নিক। সবাই রাস্তায় মাস্ক পরে বেরিয়েছে কিনা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে কিনা ওরা নজর রাখুক।আর মুখ্যমন্ত্রীর এই অভয়বাণী পেয়েই খুশিতে নাচছে তামাম বাংলা।