কোভ্যাকসিন ট্রায়াল নিয়ে বাড়ি ফিরলেন দুর্গাপুরের শিক্ষক চিরঞ্জিত ধীবর

জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: বিশ্বজুড়ে নভেল করোনার প্রকোপ। মারণ ওই রোগের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য তৎপর ভারত সহ বিশ্বের বিজ্ঞানীমহল। শুরু হয়েছে মানবদেহে ভ্যাকসিন পরীক্ষা। আর ওই কোভ্যাকসিন ট্রায়াল নিয়ে বাড়ি ফিরল দুর্গাপুরের প্রাথমিক শিক্ষক চিরঞ্জিত ধীবর। বুধবার উড়িষ্যার পরীক্ষাগার থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি।
চিরঞ্জিত ধীবর দুর্গাপুর টাউনশীপের বাসিন্দা। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। গত ২৭ এপ্রিল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ট্রায়ালে নিজের দেহ ব্যবহারের সম্মতি জানিয়ে আইসিএমআরএ আবেদন করেন। একইসঙ্গে ওই আবেদন তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে নভেল করোনা থাবা বসিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে গোটা বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রামকের সংখ্যা। মারণ এই রোগের মোকাবিলায় জোর তৎপরতা শুরু করেছে, ভারত সহ আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স মত বিশ্বের তাবড় দেশগুলি। কোভিড-১৯ র ভ্যাকসিন তৈরিতে মশগুল বিজ্ঞানীমহল। চলছে তার নানান পরীক্ষা নিরিক্ষা। ভ্যাকসিন মানবদেহ প্রয়োগ করে পরীক্ষা শুরু হয়েছে । কোভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথম আবেদন করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক চিরঞ্জিত ধীবর। সেই মত ডাক পেয়ে ভুবেনশ্বরের প্রিভেন্টিভ এন্ড থেরাপেটিক ক্লিনিকাল ট্রায়ল ইউনিটের যায়।
জানা গেছে, সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা হয়। তারপর ২৯ জুলাই কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ দেওয়ার ৭ দিন পর তার শারীরিক পরীক্ষা হয়। তারপর ১২ আগষ্ট দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ হয় চিরঞ্জিতের ওপর। এবং সেখানে তাকে পর্যবেক্ষন শিবিরে রাখা হয়। দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের পর ১৯ আগষ্ট তার শারীরিক পরীক্ষা হয়। তারপর ২৬ আগষ্ট অর্থাৎ আজ দ্বিতীয়বার পরীক্ষার পর সেখান থেকে ছুটি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চিরঞ্জিতবাবুর পরবর্তী শারীরিক পরীক্ষা হবে ডোজ নেওয়ার ১০৪ দিন পর ও ১৯৪ দিন পর। চিরঞ্জিতবাবু বলেন,” সুস্থ রয়েছি। আত্মনির্ভরতার জন্য কোভ্যাকসিন আগামীদিনে পথ দেখাবে।”