নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: শ্রমমন্ত্রকের কাছে লকডাউনের সময়কালে কর্মী ছাঁটাই এবং বেতন হ্রাস সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য চাইল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। করোনা আর লকডাউনের জেরে বাড়ছে কর্ম সংকট। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে লকডাউন পরিস্থিতিতে ভারতে প্রায় ১৪ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। আর সেই আশঙ্কার ছবি প্রতিদিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এনিয়ে বিরোধীরা বারবারই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত এপ্রিল মাসেই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রককে নির্দেশ দেন, কোথায় কত কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে বা বেতন কাটা হচ্ছে তার তথ্য তৈরি করতে। এরপর এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও) এবং এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন (ইউএস আইসি) কে তথ্য জোগাড় করতে বলে শ্রম মন্ত্রক।
সূত্রের খবর শুক্রবার দুপুরে কর্মী ছাঁটাই, বেতন কাটা ও লকডাউনে কর্মক্ষেত্রের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্রমমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় বসে অর্থমন্ত্রক। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে শ্রমমন্ত্রকের কাছে লকডাউনের সময়কালে কর্মী ছাঁটাই এবং বেতন হ্রাস সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য চায়। সম্ভবত ওই তথ্যের উপর নির্ভর করে পিএমও থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। এবং রিপোর্টে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হতে পারে। তবে কি কি পদক্ষেপ অর্থমন্ত্রক বা প্রধানমন্ত্রী দফতরের তরফে নেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ঘণ্টা ছ’য়েক মধ্যেই বদল, অফিস খোলা নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বারবার কর্মীদের কথা ভাবার জন্য আবেদন জানালেও বর্তমানে অর্থনীতির উপর যে চাপ পড়েছে তার প্রেক্ষিতে ভারতের সংগঠিত ও অসংগতি ক্ষেত্রে ছাঁটাই, বেতন কমানোর বিষয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। তাই শ্রম মন্ত্রক উদ্যোগ নিয়েছে এই বিষয়ে আরও বেশি ও নিখুঁত তথ্য সংগ্রহের। তার জন্য শ্রম মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় লেবার কমিশনার উদ্যোগে ইতিমধ্যেই ২০টি কল সেন্টার গঠন করে ছাঁটাই এবং বেতন কাটা ইত্যাদি সম্পর্কে শ্রমিকদের অভিযোগ শোনার কাজ শুরু করেছে।