ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত চিন, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা, উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত চিন। সোমবার চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত সিচুয়ান প্রদেশ। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৫ নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিচুয়ান প্রদেশ। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কারণে কমপক্ষে ৪৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৫০ এর গণ্ডি পার করেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। চিনের সিচুয়ান প্রদেশে সোমবার ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।
২০১৭ সালের পর অঞ্চলটিতে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে প্রাদেশিক রাজধানী চেংডুসহ দূরবর্তী প্রদেশগুলোও কেঁপে উঠেছে। চেংডুর ২১ লক্ষের বেশি জনসংখ্যা অধিকাংশ মানুষ দিনে বেশিরভাগ সময়ে বাড়ির বাইরে কাটিয়েছেন। ভূমিকম্পের কারণে জল, বিদ্যুৎ, পরিবহণ ও টেলি যোগাযোগ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। চিনের আর্থকোয়াক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, চেংডু থেকে ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লুডিং শহরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল। সোমবারের ভূমিকম্পটি কয়েকশো কিলোমিটার দূরে ইউনান, শানসি এবং গুইঝো প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। সিচুয়ানের ইতিহাসে ২০০৮ সালের মে মাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল। আট মাত্রার ভূমিকম্পটিতে প্রায় ৭০ হাজার লোক মারা গিয়েছিল এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।
চিনের এই ভূমিকম্পের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। চিনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, “৫ সেপ্টেম্বর সিচুয়ান প্রদেশে হওয়া ভূমিকম্পে মৃতদের শ্রদ্ধা জানাই এবং যাঁরা ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”
ভূমিকম্পের পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উদ্ধারকাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে যথাযথভাবে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। বিপর্যয় মোকাবিলায় পাশে দাঁড়িয়েছে রেড ক্রশ। তাদের তরফে ৩২০টি তাঁবু, ২,২০০টি ত্রাণ প্যাকেজ, ১,২০০টি কুইল্ট এবং ৩০০টি ফোল্ডিং বেড ত্রাণের অংশ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
করোনা আবহ থেকে এখনও ঠিকমতো বের হতে পারেনি চিন। ফের ভূমিকম্পের কবলে বিপর্যস্ত দেশ।