একইদিনে ভারতের দুই জায়গা কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে, বড়সড় দুর্যোগের পূর্বাভাস বিজ্ঞানীদের

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: একদিণে দুই জায়গা কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে। ওড়িশা, অন্যদিকে উত্তরাখন্ড। শুক্রবার সকালে দেশের দুই প্রান্ত কেঁপে উঠল মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে। জানা গিয়েছে, ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলা সাতসকালে কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৯। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে শুক্রবার গভীর রাত ২.১৩ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়।
এদিকে এদিনই কেঁপে ওঠে উত্তরাখন্ডের পিথোরগড়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৬। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে শুক্রবার গভীর রাত ৩.১০ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। এদিকে, করোনা আবহে এবার ভূমিকম্প নিয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্রের খবর, ভূপৃষ্ঠের অত্যাধিক চাপ ও তাপের কারণে হিমালয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলে মাঝারি থেকে বিশাল মাপের ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে। আর এই ভূমিকম্পের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে উওরাখন্ডের ধরচুলা এবং কুমায়ন হিমালয়ের মধ্যবর্তী অংশে।
হিমালয়ান জিওলজির ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এই অঞ্চলে অতিরিক্ত ভূত্বাত্তিক চাপের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের বিশাল ঘনত্ব আবিষ্কার করেছেন এবং এর পিছনে ভূতাত্ত্বিক কাঠামোটি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও ভূমিকম্পের এই উৎসস্থল উত্তরাখন্ডের রাজধানী শহর দেরাদুন থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, “এই অঞ্চলের উপর প্রবল চাপের সৃষ্টি হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল।”
গবেষকরা তাঁদের গবেষণায় দেখিয়েছেন যে, কুমায়ন বা মধ্য হিমালয়ের অঞ্চল যা কেন্দ্রীয় ভূমিকম্পের ব্যবধানের একটি অংশ। এই (সিএসজি) অঞ্চলটি হল হিমালয় পর্বতমালার অন্যতম ভূমিকম্প-সক্রিয় অঞ্চল। আর ‘ফাঁক’ হল এমন একটি শব্দ যা সামান্য টেকটোনিক ক্রিয়াকলাপ সহ কোনও অঞ্চলকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি হিমালয়ের সর্বাধিক কৌশলগতভাবে সক্রিয় অঞ্চল।