বেগুন গাছের ছিদ্রকারী পোকার দমন

নিজস্ব প্রতিনিধি: বারোমাসের ফসল বেগুন। বাজারে বিভিন্ন হাইব্রিড জাতীয় বেগুনের চাহিদাও যথেষ্ট। কিন্তু বেগুনে বিভিন্ন পোকার আক্রমণ হয় এবং এতে ফসলের ক্ষতি হয়। নানা ধরনের পোকার মধ্যে বেগুনে ছিদ্রকারী পোকার উপদ্রব খুবই দেখা যায়। এই পোকা কী প্রকারে দমন করা যায় তা এবার দেখে নেওয়া যাক।
বেগুনে ছিদ্রকারী এই পোকার আক্রমণে বেগুনের গায়ে বিভিন্ন ছিদ্র দেখা দেয় এবং বেগুনটি নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে ডগায় এই পোকার আক্রমণে ডগা নেতিয়ে পড়ে। এই পোকা নিয়ন্ত্রণে কী কী কীটনাশক ব্যবহার করা যায তা বলার আগে কিছু সাধারণ নিয়ম বলি। প্রথমেই বলি বেগুনের সেই জাত চাষ করা উচিত যাতে এই পোকার আক্রমণ খুব একটা দেখা যায় না। তেমনই এক জাত বিটি জাত।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ছোট এলাচ চারা তৈরি
প্রতি বছর একই জমিতে বেগুন চাষ করা উচিত নয়। গাছের যে অংশে পোকার আক্রমণ দেখা গেছে সেই জায়গা কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। যে বেগুন আক্রান্ত হবে তাও পুড়িয়ে ফেলতে হবে। বিষটব বা ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে। চারা লাগানোর ২-৩ সপ্তাহ পরে জমিতে এই ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করতে হবে। এটি একটি কার্যকর জৈবিক পদ্ধতি। বাহক পোকা দমনে নিমজাতক কীটনাশক নিমবিসিডিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
এবার বলি রাসায়নিক কীটনাশকের কথা। ট্রেসর ৪৬ এসসি। ০.৫ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। ইমাকটো, হেক্লেম, এমাকর, প্রোক্লেম ইত্যাদি ১ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে গাছে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া মার্শাল ২০ ইসি, মিলি প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতি সাতদিন বাদে বাদে কীটনাশক গাছের সব জায়গায় (পাতা, ডগা, ফল) স্প্রে করতে হবে।
তবে মাথায় রাখতে হবে কীটনাশক বদলে বদলে ব্যবহার করতে হবে, কারণ একই কীটনাশক ব্যবহার করলে পোকার সহনশীলতা বৃদ্ধি পেতে পারে। কীটনাশক ব্যবহারের দশ দিনের মধ্যে সেই গাছের বেগুন না খাওয়াই ভালো।