শ্রীলঙ্কায় বন্দি-পুলিশের ধুন্ধুমার, নিহত অন্তত ৮

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে শ্রীলঙ্কার এক কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে কারারক্ষীদের সংঘর্ষে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৫৫ জন। আহতদের স্থানীয় রাগামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।কোভিড পরিস্থিতিতে কলম্বোর অদূরে মাহারা সংশোধনাগারে প্রচুর বন্দিকে আনা হয়েছিল। ভিড় বাড়ছিল সেখানে। এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে বন্দিরা আচমকাই খেপে ওঠে। রবিবার জেলের গরাদ ভেঙে বেরনোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে বাধ্য হয়ে তা কড়া হাতে দমন করে জেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া খানিকটা উত্তপ্তই ছিল। কোভিড আবহে কলম্বো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের মাহারা জেলে বন্দিদের ভিড় বাড়ছিল। জানা গিয়েছে, ১০ হাজার বন্দির জন্য ব্যবস্থা রয়েছে এই জেলে, অথচ এই মুহূর্তে সেই সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭৫ জন বন্দি কোভিড আক্রান্ত। এদিকে, শ্রীলঙ্কায় করোনা সংক্রমণও উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বন্দিরা দাবি তুলছিল, তাদের নিরাপত্তা নেই। যে কোনও সময়ে তারাও সংক্রমিত হতে পারে। এই অবস্থায় রবিবার তা চরমে পৌঁছয়।জানা গিয়েছে, জেলের রেকর্ড রুম ও রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বন্দিরা। এরপর গরাদ ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে। নিজেদের কাজের সুবিধায় এক জেলরকে বন্দি করে রাখার চেষ্টাও করে বন্দিরা। কিন্তু তাতে সফল হয়নি। বন্দি-পুলিশ সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে জখম হন ২ জেলরও। সবাই স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এসব দেখে জেলের নিরাপত্তারক্ষীরা আরও কড়া হন। পরিস্থিতি দমনে পুলিশ বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হয়।
কলম্বো পুলিশের মুখপাত্র আজিথ রোহানা জানিয়েছেন, ‘মাহারা কারাগারের কারারক্ষীরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে বল প্রয়োগ করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কেন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল এবং একসঙ্গে ৮ জনের মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক পরিস্থিতি এথানো গেল না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’