
শরণানন্দ দাস, কলকাতা: একুশের লক্ষ্যে আঁটঘাট বেঁধে, যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির। আর বাংলা দখলের জন্য কোন পরীক্ষা নিরীক্ষার রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন না মোদি বা অমিত শাহ। যাঁরা সফল, পরীক্ষিত তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বাংলা জয়ের দায়িত্ব। তাই এবার বিজেপির ৩৯ টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ৩৯ জন কেন্দ্রীয় নেতার হাতে।
বাংলা জয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাশ রাখছেন নিজেদের হাতে। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫ কেন্দ্রীয় নেতাকে। উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব পেয়েছেন হরিশ দ্বিবেদী, কলকাতার দায়িত্বে দুষ্মন্ত গৌতম, রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বে বিনোদ সোনকার ও নবদ্বীপের দায়িত্বে বিনোদ তাওরে, মেদিনীপুরের দায়িত্বে সুনীল দেওধর। এছাড়াও রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, আইটি সেলের ভার সামলানো অমিত মালব্যকেও রাজ্যের সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে দল। এবার ৩৯ টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বও দেওয়া হলো কেন্দ্রীয় নেতাদের। তাঁদের নামের তালিকা অবশ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতা থাকলে আমাকে অ্যারেস্ট কর, আমি জেলে থেকে বাংলাকে জেতাব’: বাঁকুড়া জনসভা থেকে মমতা
তবে রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলের খবর খুব শিগগিরই তাঁরা রাজ্যে আসছেন। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখেই তাঁরা কাজ করবেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যে তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আনাগোনা একেবারেই না পসন্দ তৃণমূলের। বহিরাগত ইস্যু তুলে বিজেপিকে বেঁধার চেষ্টা করছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য স্পষ্টই বলেছেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি বহিরাগত? বিজেপি জাতীয় দল, বিভিন্ন রাজ্য থেকে নেতারা আসবেন এটাই স্বাভাবিক।’