আইনি জটিলতার অবসান, নিট-পিজি কাউন্সেলিংয়ের দিনক্ষণ ঘোষণা কেন্দ্রের

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে আইনি জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ঘোষিত হল নিট-পিজি কাউন্সেলিং-এর দিনক্ষণ। রবিবার কেন্দ্রের তরফে এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ঘোষণা অনুযায়ী নিট-পিজি কাউন্সেলিং- শুরু হবে আগামী ১২ জানুয়ারি। তবে সব কিছু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ২০২০ সেপ্টেম্বরে নিট পরীক্ষা হলেও কাউন্সেলিং আটকে যায় আইনি গেরোয়া।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে নিট-পিজি কাউন্সেলিং। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই শুরু হবে এই প্রক্রিয়া। রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের আগেই আশ্বস্ত করেছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই প্রক্রিয়া করোনার বিরুদ্ধে দেশের লড়াইকে আরও মজবুত করবে। চিকিৎসকদের জন্য অনেক শুভেচ্ছা থাকল’।
NEET PG Counselling to start from 12 Jan: Union Health Minister Mansukh Mandaviya
(File pic) pic.twitter.com/g0S8XXktd2
— ANI (@ANI) January 9, 2022
সম্প্রতি চলতি বছরেই নিট-পিজি কাউন্সেলিংয়ের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, আপাতত ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকছে ওবিসিদের জন্য, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকছে। তবে সংরক্ষণের মানদণ্ডের বিচার পরে হবে বলেও জানানো হয়েছে। আদালত আরও জানায়, চলতি বছরে আগের মতোই আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের ক্ষেত্রে ৮ লক্ষ টাকা আয়ের সীমা মানা হবে সংরক্ষণের মানদণ্ড হিসেবে। তবে ইডব্লুএস সংরক্ষণের মানদণ্ডের চূড়ান্ত বিচার হবে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ভর্তির বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের উপরেই নির্ধারিত হবে।
গত বছর ২৯ জুলাই কেন্দ্র একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকায় জানানো ১৫% স্নাতক মেডিকেল কোর্সে ২৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ এবং ১০ শতাংশ ইডব্লুএস সংরক্ষণ এবং সর্বভারতীয় কোটার অধীনে ৫০ শতাংশ পিজি আসন সংরক্ষিত থাকবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়। যার ফলে নভেম্বরে কাউন্সেলিং স্থগিত হয়ে যায়।
গত ২৫ অক্টোবর নিট কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভর্তির কথা ছিল ৷ কিন্তু আদালত কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে কেন অর্থনৈতিক দুর্বল শ্রেণির জন্য ৮ লক্ষা টাকা আয়ের মাপকাঠি করেছে তারা ৷ এর ফলে পিছিয়ে যায় কাউন্সেলিং ৷ যার জেরে ৫০ হাজার আবাসিক ডাক্তারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যায় ৷ সম্প্রতি এই নিয়ে দিল্লিতে চিকিৎসকেরা বিক্ষোভও দেখান ৷ কাউন্সেলিং শুরু হলে কোভিডের বাড়-বাড়ন্তের কঠিন পরিস্থিতিতে ৪৫০০০-এরও বেশি জুনিয়র ডাক্তার কাজে যোগ দিতে পারবেন ৷