চম্বল থেকে নেতা এলেও সংস্কৃতি আমদানি করা যাবে না, কৈলাসকে কটাক্ষ ফিরহাদের

অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: বাংলায় চম্বলের রাজত্ব চলবে না। তোপ দাগলেন পুরমন্ত্রী তথা পুর প্রশাসক মণ্ডলীর মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। বুধবার পুরসভায় প্রশাসক মণ্ডলীর বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিজেপি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীকে নিশানা করে নাম না করে একথা বলেন। ফিরহাদ বলেন, ‘বাংলায় বিজেপি এলে চম্বলের রাজত্ব হয়ে যাবে। চম্বল থেকে নেতা এনে দলের প্রসার করছেন। চম্বল থেকে নেতা আনতে পারেন। কিন্তু চম্বলের সংস্কৃতি এলে বাংলা গোল্লায় যাবে। সেটা তৃণমূল কখনও হতে দেবে না।’ এর আগে বিজেপির তরফে বলা হয় খুনের বদলে তারা খুনের রাজনীতি করবে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন ফিরহাদের নাম না করে কৈলাশকে একহাত নিলেন।
‘রাজ্যের প্রবীণ কীর্তন শিল্পীদের পেনশন দেবে বিজেপি’। মঙ্গলবার এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এরপরেই এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে চম্বলের ডাকাত বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ইতিমধ্যেই শিল্পীদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক সাহায্য করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিন ফিরহাদ বিজেপিকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে বলেন, ‘ওরাতো গুন্ডা। ওরা তো বর্গী। মারধর খুনখারাপি ছাড়া কিছুই জানে না। নইলে ইউপিতে কেউ এনকাউন্টার করে মেরে দেয়। পুলিশ অফিসারকে গুলি করল বিজেপি নেতা। আর বড় নেতারা যোগ ফাঁস হয়ে যাবে তাই তাকে গুলি করে দিল। এসব ওদেরই কাজ। দিল্লিতে ৫২ জন মেরে দিল। ওখানে গুজরাটে ২০০০ লোক মেরে দিল। ওরা তো খুন খারাপি করতে আসে। বাংলার মানুষের এটা কৃষ্টি নয়। আমি যদি গুন্ডামি করি তবে আইনের শাসন কেন থাকবে। যে সরকার আসবে মারের বদলা মার, অর্থাৎ পুলিশ আইন তোয়াক্কা করে না। বাংলার মানুষ এটা পছন্দ করে না। বাংলার মানুষ আইনত চলতে ভালোবাসে তাই পুলিশ আছে আইন আছে।’
অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন সংখ্যালঘুদের দলে যোগ দেওয়ার কথা বলেন। সে প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘দিলীপ ঘোষের ভরসায় কি সংখ্যালঘু থাকে। না। ভারতবর্ষের সংবিধানের অধিকারের সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু সব নাগরিকেরই থাকে। দিলীপ ঘোষের কৃপা বা অত্যাচারে প্রয়োজন নেই। বিজেপি এখানে আসবে না। সে গুড়ে বালি। গুজরাতে সাম্প্রদায়িক দল আসতে পারে। ইউপিতে আসতে পারে। বাংলায় কোনদিনও আসবে না। দশমন তেলও পুড়বে না রাধাও নাচবে না।’
বিজেপির তরফে এদিন বলা হয় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করানো হবে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফিরহাদ বলেন, ‘২১ সালেও তৃণমূল কংগ্রেসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মানুষ শাসন করার ক্ষমতা দেবে। তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুট করে না। এগারো সালে, ষোল সালে বাংলার মানুষ তৃণমূলকে সরকার চালানোর অধিকার দিয়েছে। সুতরাং সেন্ট্রাল ফোর্স বা স্টেট পুলিশ হোক। তাতে আমরা তোয়াক্কা করি না। আমরা মানুষের ওপর বিশ্বাস করি। মানুষের রায় মাথা পেতে নিই। আমাদের বিশ্বাস বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে সমর্থন করে আবারো ক্ষমতা দেবেন।’