প্রতি বছর রাজ্যের ৭০ লক্ষ কৃষক ৪২০০ কোটি টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে: রাজ্যপাল
নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর: বুধবার শ্রীনিকেতনে হলকর্ষন অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক যোগ দেন রাজ্যপাল তথা বিশ্বভারতীর প্রধান জগদীপ ধনকর। এদিন তিনি মাঠে হাল চালিয়ে হলকর্ষন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ আনান্যরা। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারের তিব্র সমালোচনা করেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল বলেন, বেঙ্গল গ্লোবাল সামিটস নিয়ে বড়বড় স্বপ্ন দেখানো হয়ে ছিল। কিন্তু প্রশ্ন করতে চাই ২০১৬ সাল থেকে কত বিনিয়োগ এসেছে, কত খরচ হয়েছে, কত চাকরি হয়েছে? রাজ্যের যে ঘরে যান দেখবেন ছেলেরা বাইরে রাজ্যে কাজ করে, পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। কোভিড নিয়ে বড় কমিটি করা হয়েছে, বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। আমি জানতে চাই এই কমিটির কাজ কি? এদের দ্বায়িত্ব কি? লিখিত জবাব আসে এটা অনানুষ্ঠানিক কমিটি। কোন সরকার অনানুষ্ঠানিক কমিটি গঠন করতে পারে না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই কৃষকদের কথা ভেবে ছিলেন। কিন্তু রাজ্যসরকার রাজ্যে কত কৃষক আছে তার সংখ্যা দিচ্ছে না। এর ফলে প্রতি বছর রাজ্যের ৭০ লক্ষ কৃষক ৪২০০ কোটি টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত দুবছরে এর পরিমান প্রায় ৪৮০০কোটি টাকা। কেন্দ্র ৩লক্ষ কোটি টাকার প্যকেজ ঘোষণা করেছে কৃষকদের জন্য। কৃষান ক্রেডিড কার্ডের মাধ্যে ৩ শতাংশ সুদে এই টাকা পাবে কৃষকেরা, কিন্তু রাজ্যের কৃষকেরা তা পাচ্ছে না। এই সরকার কৃষদের জন্য কি করেছে? রাজ্যপালকে বিধানসভায় পড়তে হয়েছে রাজ্যসরকার কৃষকদের ৭০০ কোটি টাকার কম দিয়েছে। একই ভাবে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যান যোজনার মাধ্যমে কোভিড সময়ে সাত মাস ধরে পাঁচ কেজি চাল এবং এক কেজি ডাল পাবেন বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ। পুলিশ প্রাশাসন বেপরোয়া হয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মত কাজ করছে। এটা প্রজাতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক, এটা আমি বাড়তে দিতে পারি না।
এদিন রাজ্যপাল বলেন, গুরুদেব শান্তিনিকেতনে এত বড় বিশ্ববিদ্যালয় করেছে সেখানে মাফিয়ারাজ কত বড় হয়েছে আপনারা জানেন। বীরভূমে বোমা তৈরি ফ্যাক্টারি রয়েছে, গদবাদি পশু এই জেলা হয়ে পাচার হচ্ছে। মাফিয়ারাজ বীরভূমের পরিচিতি হতে পারে না।