fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

মিহির গোস্বামী প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য ছায়াসঙ্গী অভিজিৎ দে ভৌমিকের, উত্তাল কোচবিহার

দেবাশিষ বিশ্বাস, কোচবিহার: “একদিনের জন্য হলেও যে ব্যক্তি ডানপন্থী রাজনীতিতে রয়েছে তিনি কখনোই বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন না” এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কোচবিহারে বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিহির গোস্বামীর বিরুদ্ধে তার ই ছায়া সঙ্গী অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি আরও বলেন, “এক করে তার সমস্ত দুর্নীতি ফাঁস করবেন তিনি।”

ব্লক কমিটি ঘোষণার সময় অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক ( হিপ্পি দা )।দীর্ঘদিন থেকে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর হয়ে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির কাজ করছেন তিনি। যেই মুহুর্তে মিহির গোস্বামী দলীয় সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সেই সময় থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছিলেন হিপ্পি দা। রবিবার কোচবিহার যুব তৃণমূল কার্যালয়ে তাই মিহির গোস্বামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরিত হয়ে উঠলেন তিনি।

এদিন আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি বলেন, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের হয় কোনও কাজ করেননি তিনি।মানুষের সাথে মানুষের পাশে থাকা তো দূরের কথা ফোন করলে পর্যন্ত তাকে পাওয়া যেত না। এই ধরনের নেতা বা বিধায়কের অন্ততপক্ষে বিধানসভা কেন্দ্রে কোন প্রয়োজন নেই।শুধু তাই নয় দলীয় কর্মীদের সাধারণমানুষ কারো জন্য সাংগঠনিক কোন কাজ করতে তিনি সরাসরি অস্বীকার করেছেন বারংবার। তাই এই ধরনের নেতা দল থেকে চলে গেলে দলের বিশেষ কোনো ক্ষতি হবে না বলেই তিনি দাবি করেছেন। চাঁদে সেরকম কলঙ্ক রয়েছে সেই রকম স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মিহির গোস্বামীর মধ্যেও যথেষ্ট কালিমা রয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, সময় আসলে পরে সমস্ত দুর্নীতি ফাঁস করে দেবেন প্রমান সহকারে। জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এর কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ সহ কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের সরকারি ঘর এমনকি পায়খানার থেকেও কাটমানি খেয়েছেন বলে অভিযোগ । এখন ধোয়া তুলসীপাতা হয় কাঠ মানির জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষারোপ করছেন তিনি।এই গিরগিটি স্থানীয় নেতাদের অন্ততপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন ঠাই নেই বলেই পরিষ্কার ভাষায় মন্তব্য করেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। এদিন নিজের কথায় তিনি দাবি করেন বিগত দুই বছরের বেশি সময় থেকে তৃণমূল থেকে সরে যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত মিহির গোস্বামী।

 

বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে কয়েক জনের কথায় পরিচালিত হয়ে তিনি এই ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন। তাকে ভুল পথে চালিত করার জন্য কয়েক জন বুদ্ধিজীবীকে দায়ী করেছেন তিনি, যারা অবশ্যই কোচবিহারের সুপ্রতিষ্ঠিত বাসিন্দা। তিনি পরিষ্কার জানান, মিহির বাবুর দলত্যাগ করার ফলে দলের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবে না,পালিয়ে গেছেন নিজের কর্তব্য থেকে মুখ সরিয়ে। সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে নয় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বোতাম টিপে সঠিক জবাব দেবে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ ভোটার এবং মানুষেরা।

প্রসঙ্গত,কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী দিল্লিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে ও পতাকা হাতে তুলে নেয়, এবং সেইসাথে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন,স্বচ্ছ ভাবমূর্তি হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই তাকে বিজেপি গ্রহণ করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে এবং বিজেপির দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। সমালোচনা উঠেছিল তার চলে যাওয়াতে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি থেকে মূল কংগ্রেস। সেই সমালোচনাকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিন ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের যে ব্যক্তি তার সারথি হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি হাটে হাড়ি ভাঙ্গার সংকল্প করেছেন।

একইসাথে এদিন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের যুব ব্লক অঞ্চল কমিটির দুইটি নতুন কমিটি ঘোষণা করেন অভিজিত বাবু। সেই সময়ই মিহির গোস্বামী প্রসঙ্গে আলোচনা করলে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ছাত্র রাজনীতির প্রথম সময় থেকেই মিহির গোস্বামী ছায়াসঙ্গী অভিজিৎ দে ভৌমিক, আজ তারি আচরণ এবং ব্যবহারে দুঃখিত এবং অপমানিত হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন তিনি।

Related Articles

Back to top button
Close