চরম সংকট! ভারত থেকে আর বিদ্যুৎ পাচ্ছে না নেপাল, বিপর্যয়ের মুখে শিল্প-কলকারখানা

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: চরম সংকটে নেপাল। কারণ ভারত থেকে আর পর্যাপ্ত বিদ্যুত সরবরাহ পাচ্ছে না নেপাল। ভারত বিদ্যুৎ শিল্পে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে!। বর্তমানে, নেপাল ভারত থেকে মাত্র ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়, আর নেপালের চাহিদা ৪০০ মেগাওয়াটের, জানান নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ থিকে। প্রদীপ বর্তমানে আমাদের ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের অভাব রয়েছে কারণ আমরা ভারত থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাইনি, ভারত নিজেই বিদ্যুতের ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে।” নেপালের তিনটি শিল্প করিডোর, বীরগঞ্জ, বিরাটনগর এবং ভৈরহাওয়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহকে প্রভাবিত হবে। যে কোনও সময় এই করিডোরগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিতে হতে পারে।” এতে প্রধানত বড় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ছোট শিল্পের তেমন কোনও সমস্যা হবে না। এতে যে সমস্যা হবে তা হল আলো সরবরাহের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারলেও তবে শুখা মরশুমে শিল্পকেন্দ্রগুলিতে বড় মেশিন চালানোর জন্য বিদ্যুৎ দিতে পারব না। এক বা দেড় মাস পরে, যখন বর্ষাকাল আসবে, তখন পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং নেপাল ভারতে বিদ্যুৎ রফতানির মতো জায়গায় থাকবে আশা প্রকাশ করেন তিনি। অবশ্য কিছুদিন পর ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ব্যাপারের আশাবাদী তিনি।
দক্ষিণ এশিয়ার একের পর এক দেশ অর্থনৈতিক সংকটে ডুবছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা কেউ ভালো নেই। এই তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে নেপালের নাম। ফুরিয়ে এসেছে দেশটির ফরেন রিজার্ভ। আসন্ন সংকট ঠেকাতে প্রবাসীদের দেশে অর্থ পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে নেপাল সরকার।
বৈদেশিক রিজার্ভ সংকুচিত হওয়ায় নিজেদের আমদানি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। বিশেষ করে যেসব পণ্য অগুরুত্বপূর্ণ (গাড়ি, কসমেটিকস ও স্বর্ণ) সেগুলো আমদানি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল।
নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে ১৬ শতাংশ কমে ১ দশমিক ১৭ ট্রিলিয়ন নেপালি রুপি বা ৯৫৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে নেপালিদের রেমিটেন্স পাঠানো কমেছে ৫ শতাংশ।