fbpx
আন্তর্জাতিকহেডলাইন

বিফলে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি, রুশ আগ্রাসী বিক্ষোভে আটক ছয় শতাধিক

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পরেই যে হানাহানির ইতিহাস শুরু হয়েছিল, সেই ধবংসের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। সাইরেনের শব্দ, গোলা, বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের জীবন। রবিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর মারিউপোল থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার নতুন চেষ্টাও বিফলে গেছে। স্থানীয় নগর পরিষদ বলেছে, রাশিয়ার অব্যাহত গোলাগুলির কারণে তা সম্ভব হয়নি। দেশের অন্যান্য স্থানেও রাশিয়ার বাহিনী গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চলছে।

সাধারণ বাসিন্দাদের মারিউপোলসহ দুটি শহর ছাড়ার জন্য শনিবার প্রথম সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও ‘মানবিক করিডোরের’ কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সে পরিকল্পনাও শহর ছাড়ার আরেকটি পথে রাশিয়ার সেনাদের হামলার কারণে বাতিল করা হয়।

আন্তর্জাতিক রেডক্রস বলেছে, দুদিনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা সংঘাতের সংশ্লিষ্ট পক্ষদুটোর মধ্যে ‘একটি বিশদ ও কার্যকর মতৈক্যের অভাবকেই’ তুলে ধরেছে।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কোর দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তার দেশের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ হবে না। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি জনগণকে রাশিয়ার ‘প্রথম ধাক্কা সামলানোর পর’ এবার রুখে দাঁড়ানোর জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি জেলেনস্কির সহায়তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র পোল্যান্ডের সঙ্গে মিলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করতে সোভিয়েত আমলের কিছু যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা সমর্থন করছে না বহু রুশ। যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভও চলছে। পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠী ওভিডি-ইনফো জানিয়েছে, রাশিয়ার ২১টি শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। ছয় শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

নাভালনি আহ্বান জানিয়েছেন, মস্কোর স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় রাশিয়ার শহরগুলোর প্রধান স্থানগুলোতে যেন বিক্ষোভ করা হয়। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে রুশরা রাস্তায় নেমে আসে। ধরপাকড় চালানোর রেওয়াজ রয়েছে। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর ১১ দিনে রাশিয়ায় আট হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

 

Related Articles

Back to top button
Close