হারিয়ে যাওয়া দেশজ ধানের সংরক্ষণে উদ্যোগী ‘ফিয়াম’, লাভের মুখ দেখছে চাষিরা

শান্তনু চট্টোপাধ্যায়, রায়গঞ্জ: হারিয়ে যাওয়া ধানের প্রজাতিগুলিকে পুনরায় সংরক্ষণ করে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ দীর্ঘদিন ধরেই চালিয়ে যাচ্ছে “ফিয়াম” নামে একটি সংস্থা। রায়গঞ্জের হাতিয়ায় প্রায় আড়াই বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে ফিয়ামের গবেষণাগার। এই জমিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হারিয়ে যাওয়া ধানের চারার পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হয়েছে। আপাতত চারশো কুড়ি রকম প্রজাতির ধানের পরীক্ষা মূলক চাষ হচ্ছে এখানে। ফিয়াম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন হারিয়ে যাওয়া ধানের সংরক্ষণ ও আবহাওয়া ভিত্তিক ধানচাষের সুফল চাষিদের মধ্যে পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় দশবছর ধরে বিভিন্ন রাজ্যের হারিয়ে যাওয়া ধান সংরক্ষণের কাজ করে চলেছে ফিয়াম। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই পারিজাত, মাগুরশাল, জয়প্রকাশ, বহুরুপী, কেরালা সুন্দরী, রাধাতিলক প্রজাতির ধান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সংস্থার সম্পাদক চিন্ময় দাস বলেন, ” দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ধানের চারা আমরা সংরক্ষণ করছি। আঞ্চলিক জলবায়ু অনুযায়ী কোন ধান কোথায় ভালো হবে তা নির্ধারণ করে পরবর্তীতে আমরা কৃষকদের হাতে তুলে দেব। কৃষকদের বাজার থেকে বীজ কিনতে হবে না। এই ধানের চাষ সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতি মেনে হয়। এর ফলে একদিকে যেমন ধানের পুষ্টিগুণ বাড়বে অন্যদিকে দূষণের হার কমবে। প্রায় দশবছর ধরে এবিষয়ে নিরন্তর পরীক্ষা চালাচ্ছি আমরা। ”
অন্যদিকে এলাকার কৃষক বিজয় চন্দ্র বর্মন বলেন,” ফিয়ামের সদস্যরা এলাকার কৃষকদের সঙ্গে দেশজ ধানের চাষ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এতে অনেক কৃষক উৎসাহিত হয়ে জৈব পদ্ধতিতে হারিয়ে যাওয়া দেশজ ধানের চাষ শুরু করেছেন। প্রথমে অল্প জমিতে চাষ করলেও লাভ বেশি হওয়ায় বর্তমানে বেশি জমিতে এইসব ধানের চাষ শুরু হয়েছে।