fbpx
দেশহেডলাইন

অমিত শাহের আলোচনার প্রস্তাব খারিজ, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন কৃষকরা

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক:  গত কয়েক দিন ধরে কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল দেশ। ছটি রাজ্য থেকে কয়েক হাজার কৃষক হাজির হয়েছেন দিল্লির বাইরে। কেন্দ্রের আনা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। এই বিক্ষোভের মুখে কৃষকদের সব সমস্যা শোনা হবে বলেই বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহের শর্তে রাজি নয় পাঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলি। দিল্লি সীমানায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। রবিবার বৈঠকের পর এ কথা জানিয়ে দিলেন কৃষক সংগঠনগুলি।

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। রাজধানী দিল্লি বিক্ষোভের শামিল হতে কৃষকদের লং মার্চ করে জড়ো হতে থাকেন পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায়। তবে রাজধানীতে বিক্ষোভের অনুমতি মেলেনি। কৃষকদের হঠাতে জলকামানও ব্যবহার করেছে পুলিশ। তবে তাতেও দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের একাধিক রাজ্যের কৃষকরা আন্দোলনে নেমেছে। চাপের মুখে শনিবার সুর নরম করে সরকার। শর্তসাপেক্ষে চাষিদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । সেই প্রস্তাব এ দিন খারিজ হয়ে গেল। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (সিংঘুপুর) সভাপতি জগজিৎ সিং জানান, যন্তর মন্তরের পরিবর্তে নয়াদিল্লি বুরারির মাঠে বিক্ষোভ প্রদর্শনের শর্তে কেন্দ্র যে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছে, তা সর্বসম্মতভাবে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর সরকার কী পদক্ষেপ করে তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: নবান্ন দখলের তালিকা চূড়ান্ত করবেন শাহ!

দেশের প্রায় ৫০০টি কৃষক সংগঠন যোগ দিয়েছে এই বিক্ষোভে। তারই অন্যতম পাঞ্জাব কিষাণ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট রুলডু সিং জানিয়েছেন, ‘আমরা ঠিক করছি কেন্দ্রের সঙ্গে কী কথা বলব। যদি কেন্দ্র আমাদের আমন্ত্রণ জানায় তাহলেই আমরা কথা বলতে রাজি।’ সিং আরও বলেন, ‘আমরা ভালভাবেই জানি কেন্দ্র আমাদের সব দাবি মেনে নেবে না। আমাদের প্রাথমিক দাবি হল তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করা। তাছাড়া ইলেকট্রিসিটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (২০২০) প্রত্যাহার করারও দাবি জানাচ্ছি আমরা। যদি সরকার কৃষি আইন নিয়ে অনড় থাকে তাহলে আমরা ফসল কেনার উপর এমএসপি বসানোর দাবি জানাব।’ এক কৃষক নেতা জানিয়েছেন, ‘আমরা এখান থেকে সরব না ও আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। বুরারি বিক্ষোভ স্থল অনেকটা জেলের মতো। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে হাজার হাজার কৃষক এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। আমরা ঘরে ফিরব না।’

শনিবার কৃষকদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, ‘সরকার কৃষকদের সব সমস্যা ও দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে রাজি।’ তিনি আরও জানান, ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্র। যদি কৃষকরা তার আগে আলোচনায় বসতে চান, তাহলে তাদের সরকারের দেখিয়ে দেওয়া একটি জায়াগায় বিক্ষোভে বসতে হবে। প্রতিদিনই বিক্ষোভকারী কৃষকদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। শনিবার আরও অনেক কৃষক এসে জড়ো হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সরকারের বেছে দেওয়া জায়গায় বিক্ষোভে বসতে নারাজ।

Related Articles

Back to top button
Close