করোনার কামড় ফুটবলেও, বেতন কমাতে রাজি মেসিরা

বার্সিলোনা: প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছিল অনেকদিন আগেই। কিন্তু কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না ফুটবলাররা। এই নিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফুটবলারদের সম্পর্কেরও অবনতি ঘটছিল। যার প্রভাব হয়তো পড়ছে মাঠেও। অবশেষে টালবাহানার ইতি। করোনার আবহে বেতন কমানোর বিষয়ে সিলমোহর দিল বার্সেলোনার ফুটবলাররা।
শুক্রবার গভীর রাতে বার্সেলোনা বোর্ডের সঙ্গে মেসি-গ্রিজমান’রা বেতন কমানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। এতে বছরে বার্সার খরচ বাঁচবে ১২২ মিলিয়ন ইউরো। দলের প্রথম সারির তারকা অর্থাৎ মেসি, গ্রিজমান, কুটিনহো, পিকেদের সঙ্গে কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছিল। গত ২৬ অক্টোবর পদত্যাগ করা সভাপতি জোসেপ বার্তেমেউ এটা শুরু করেন। কাতালান ক্লাবটির অন্তবর্তীকালীন সভাপতি কার্লেস তুসকেতসেরও প্রধান উদ্বেগ ছিল এই ব্যাপারটি নিয়েই। কারণ, ফুটবলার কিছুতেই ক্লাবের এই শর্ত মানতে রাজি হচ্ছিল না। অবশেষ প্রথমে এগিয়ে এসে সকলকে পথ দেখালেন কোচ রোনাল্ড কোম্যান। তিনি নিজের ১০ মিলিয়ন পাউন্ড বার্ষিক বেতন কমাতে সম্মত হন। এরপর ক্লাবের প্রস্তাবে আর মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারেনি ফুটবলাররা।
বার্সেলোনা আদতে সাশ্রয় করতে চেয়েছিল ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড। কিন্তু সব মিলিয়ে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে তা করা গেল ১৫৪ মিলিয়ন পাউন্ড। ঘাটতি ১৬ মিলিয়ন পাউন্ডের। গত সপ্তাহে বার্সেলোনা বেতন বাবদ খরচ ৬০১ মিলিয়ন পাউন্ড থেকে ৩৪২ মিলিয়ন পাউন্ডে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। সাম্প্রতিক এক হিসেবে দেখা গিয়েছে, করোনায় বার্সেলোনার ক্ষতি হয়েছে ৮৮ মিলিয়ন পাউন্ড। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ক্লাবের দেনা বেড়ে হয়েছে ৪৪০ মিলিয়ন পাউন্ড।
গত মার্চ মাসে ফুটবলাররা ৭০ শতাংশ বেতন ছাড় দিতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। কয়েকজন ফুটবলার যেমন জেরার্ড পিকে, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং নতুন চুক্তি অনুযায়ী ৩০ শতাংশ বেতন বকেয়া রাখার ব্যাপারে একমত হলেও লিওনেল মেসির মতো উচ্চ বেতনধারীরা শুক্রবারের আগে সম্মতি দেননি।
বেতন কমানোর বিষয়ে ফুটবলাররা সম্মত হওয়ায় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ। কোম্যানের আশা, সব সমস্যা মিটে যাওয়ায় মেসিরা এখন খোলা মনে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারবে।