ত্রাণের চাল বন্টন নিয়ে মারামারি ভাঙড়ে, গ্রেফতার ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, ভাঙড়: ত্রাণের চাল বন্টন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে মাথা ফাটল ৬ থেকে ৭ জনের। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনায় দু’পক্ষই একে অপরের নামে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ, চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের সভাপতি আবেদ আলি কাবিলডাঙা গ্রামে চাল বিতরণের জন্য দু কুইন্টাল চাল পাঠিয়েছিলেন।সেই চাল কারা বিতরণ করবে তা নিয়ে গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।পুলিশ সূত্রে যেমনটি জানা গিয়েছে,অঞ্চল সভাপতি আবেদালি ঘনিষ্ঠরা এলাকায় চাল বিতরণ করার জন্য স্লিপ বিলি করছিলেন তখন আরাবুল গোষ্ঠীর লোকেরা সেই স্লিপ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
তখন উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তাতে আবেদালির অনুগামী গোলাম মোল্লা, হবি সর্দার, বাকিবিল্লা সহ সাত আটজন আহত হন। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ পাতাউদ্দিন, হামিদ, মুকুল, ফারাকের বিরুদ্ধে।পুলিশ তিন আরাবুল অনুগামী ও দুই আবেদ আলি অনুগামী যুবককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১০০দিনের কাজ গ্রামে মূলত আরাবুল ঘনিষ্ঠ পাতাউদ্দিন, হামিদ, মুকুলরা তাদের নিজেদের অনুগামীদের দিয়ে করিয়ে নিত। এতে এলাকার মানুষের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এর পাশাপাশি কয়েকটি পারিবারের মধ্যে পারিবারিক গন্ডগোল আছে। সেই সমস্ত গন্ডগোল থেকে এদিন সংঘর্ষ বড় আকার নেয়।
এই বিষয়ে চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবেদ আলি বলেন, “এর মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।এখানে সবাই তৃণমূল করে। মূলত পারিবারিক গন্ডগোল থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
” এ ব্যপারে ব্লক সভাপতি অহিদুল ইসলাম বলেন, “একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি, পুলিশ কে বলেছি যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”
এই অশান্তির জেরে সোমবার রাত থেকে কাবিলডাঙা গ্রামে পুলিশি পিকেট বসিয়েছে কাশীপুর থানা। টহলদারি ভ্যানও বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে কাবিলডাঙা গ্রামে। আহতদের মধ্যে অনেকেরই মাথায় একাধিক সেলাই পড়েছে।কয়েকজনের হাতে ও কোমরে ব্যাপক আঘাত লেগেছে।