
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনার আবহেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। লোকাল ট্রেনের পর আগামী বৃহস্পতিবার থেকে চালু হচ্ছে প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা। এবার আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারের দরজাও খুলে গেলো প্রবীণ মানুষদের জন্য। প্রসঙ্গত গত ২৩ নভেম্বর থেকে জাতীয় গ্রন্থাগারের দরজা খুললেও ষাটোর্ধ্ব বয়সিদের জন্য বন্ধই ছিল এই ঐতিহ্যশালী ভবন। ইতিমধ্যেই জাতীয় গ্রন্থাগারে ঢুকে কাজ করতে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকে চিঠিও লিখেছিলেন কয়েক জন প্রবীণ নাগরিক। শেষ পর্যন্ত তাঁদের সেই দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় গ্রন্থাগারের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) কে কে কচুকোশি বলেন,’করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবীণেরা এখন পড়াশোনার জন্য জাতীয় গ্রন্থাগারের রিডিং রুম ব্যবহার করতে পারবেন। জাতীয় গ্রন্থাগারে প্রচুর বয়স্ক মানুষ গবেষণার কাজ থেকে শুরু করে নানা ধরনের পড়াশোনা করতে নিয়মিত আসেন। তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।’
তিনি জানিয়েছেন, রিডিং রুম ব্যবহারের জন্য প্রবীণ ব্যক্তি-সহ সবাইকেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। রিডিং রুম ব্যবহার করতে গেলে আগে থেকে অনলাইনে তা বুক করতে হবে। যে দিন কেউ পড়তে চাইবেন, তার এক দিন আগে দুপুর ১২টার মধ্যে রিডিং রুম বুক করতে হবে। রিডিং রুমে এক বারে ৪০ জনের বেশি পাঠক থাকতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ‘একুশের আগেই সরকারের পতন!
করোনা পরিস্থিতিতে একটি বই রিডিং রুমে কোনও পাঠকের ব্যবহারের পরে ৭২ ঘণ্টা কাউকে দেওয়া হবে না। সোম থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে জাতীয় গ্রন্থাগার। তবে প্রবীণদের গ্রন্থাগারে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও এখনও ১৪ বছরের কম বয়সিদের গ্রন্থাগারে প্রবেশের অনুমতি নেই। কচুকোশি বলেন,’জাতীয় গ্রন্থাগারে ছোটদের বিভাগটি খুব একটা খোলামেলা নয়। তাই এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ছোটদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি এখনই আমরা দিচ্ছি না।’