
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ৪ মাস কেটে গেলেও এখনও আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ বন্টন নিয়ে জটিলতা কাটেনি। উলটে বার বার সেই নিয়ে দুর্নীতি ও ঢিলেমির প্রশ্নে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি আমফান ক্ষতিপূরণের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরে ন্যূনতম ৩ দিন এবং সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে আমফান ত্রাণ বিলি করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার প্রথম দফার ভার্চুয়াল বৈঠকের পর মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম – এই ৫ জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে কাজের খতিয়ান নিতে নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে জেলায় জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেও করোনাকালে বহুদিন ধরেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করছে নবান্ন। সেখানেই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আমফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ ৩, ৪ দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলুন। আর ফেলে রাখবেন না।” তাঁকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, ”ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরির কাজ কোনও কোনও জেলায় ১ থেকে ২ শতাংশ বাকি আছে।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের সুরে বলেন, তালিকা তৈরি হোক বা ক্ষতিপূরণ বন্টন, ৭ দিনের মধ্যেই যেন তা সমাপ্ত হয়।
প্রসঙ্গত, ২০ মে পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ে
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। ওই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুরে মতো উপকূলবর্তী এলাকা। কিন্তু সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হতেই অভিযোগ ওঠে, খোদ শাসকদলের দুর্নীতি প্রাপ্য থেকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত হচ্ছে। এসব রুখতে দুর্নীতির কথা কবুল করে নিয়ে দ্বিতীয়বার তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বেশ কিছু নেতাকে শো-কজ, এমনকি বহিষ্কারও করেন। সেই আমফান কাণ্ড নিয়ে তিনি যে আর জলঘোলা চান না, সাতদিনের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এদিন তা পরিষ্কার করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।