পানামা-প্যারাডাইসের পর এবার ফিনসেন লিস্টে অবৈধ লেনদেনের খতিয়ান, রয়েছে বহু ভারতীয়

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ফিনসেনের জালে ভারতীয় ধনকুবেররা। সুইস লিক, পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসের পর ফের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার একগুচ্ছ ‘সন্দেহজনক’ আর্থিক লেনদেনের পর্দা ফাঁস! নেপথ্যে ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট এবং মার্কিন সংবাদ সংস্থা বাজফিড।
তদন্তমূলক অনুসন্ধানের সঙ্গে যুক্ত ছিল ৮৮টি দেশের ১০৯টি সংবাদমাধ্যম। রিপোর্টে উঠে এসেছে একাধিক ভারতীয় ধনকুবের এবং সংস্থার নাম। প্রায় হাজার দু’য়েক নথির ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে রহস্য উদ্ঘাটন করেছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক (ফিনসেন) এবং রিপোর্টের নামও দেওয়া হয়েছে ‘ফিনসেন ফাইলস্’। বিগত তিন মাস ধরে ওই সমস্ত সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনর নথি (সাসপিসিয়াস অ্যাকটিভিটি রিপোর্টস বা এসএআর) সংক্রান্ত রিপোর্টে নজর রেখেছিল একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ।
অধিকাংশ ‘সন্দেহজনক’ আর্থিক লেনদেনে ভারতের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, কোটাক মহিন্দ্রা, এইচডিএফসি, কনাড়া ব্যাঙ্ক, অন্ডাসইনড ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদার নাম উঠে এসেছে। এছাড়াও নাম রয়েছে ডয়সে ব্যাঙ্ক, স্ট্যানডার্ড চাটার্ড, সিটি ব্যাঙ্ক, জেপি মরগ্যানের। এসএআর রিপোর্ট বলছে, কীভাবে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদরা কর ফাঁকি দেন এবং বিপুল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করেন! ইংরেজি দৈনিকটির তদন্তমূলক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতীয় বংশদ্ভুত হীরে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রথমসারির স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থা, ঋণ খেলাপি স্টিল সংস্থা সহ আর্থিক অপরাধে যুক্ত বহু ব্যক্তি বা সংস্থার নাম উঠে এসেছে ফিনসেন পেপারে। আইপিএল–এর একটি টিমের স্পনসরের নামও তালিকায় রয়েছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, টাকা নেওয়া বা পাঠানোর জন্য ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির অভ্যন্তরীণ শাখাগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে। কিছুক্ষেত্রে ভারতীয় ব্যাঙ্কের বিদেশি শাখাগুলিকেও কাজে লাগিয়ে আর্থিক লেনদেন চালানো হয়েছে। এসএআর রিপোর্ট বলছে, শুধু ভারত থেকেই ৩,০২১টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। মোট অঙ্কের পরিমাণ ১৫৩ কোটি মার্কিন ডলার।