কলকাতাগুরুত্বপূর্ণপশ্চিমবঙ্গহেডলাইন
অপমানের কথা আগে বলেনি কেন? তৃণমূলের বেসুরোদের কটাক্ষ ফিরহাদ

অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: শাসক দলের অন্দরে বিদ্রোহের সুর ক্রমশ চড়ছে। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগেই একের পর এক নেতামন্ত্রীর গলায় বিদ্রোহের সুর। যার ফলে বাড়ছে শাসকদলের অস্বস্তি। আর তাকেই হাতিয়ার করেই আসর নেমেছে বিরোধী বিজেপি। তাই রবিবার বারুইপুরের সভা থেকে নাম না করে তৃণমূলের বেসুরোদের বিঁধলেন পুরো নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।সেই সভামঞ্চ থেকেই বেসুরোদের উদ্দেশে সুর চড়িয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ অপমান হচ্ছিল আগে বললেন না কেন? এতদিন কেন মন্ত্রী থাকলেন? বিজেপি এসে কানের কাছে বলছে তারপর মনে পড়ল? আর একজন হুক্কাহুয়া করলে সকলেই করতে থাকে। তৃণমূল সাগরের মতো। আমি সম্মান পেলাম কিনা বড় কথা নয়। মানুষ পেল কিনা বড় কথা।’ এতটা চাঁচাছোলা ভাষায় না হলেও দলীয় সভা থেকে বেসুরোদের বার্তা দিতে ভুললেন না দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন অনেকেই বেসুরো। মমতার সুরে কথা না বললে অনেকে নিজেই বেসুরো হবেন।’ প্রত্যক্ষভাবে বারুইপুরের জনসভায় কারণ নাম উল্লেখ না করলেও শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেই পরোক্ষে ফিরহাদ বার্তা দিয়েছেন বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। অন্য দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে তৃণমূলের জনসভা থেকে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ফিরহাদের নিশানায় বিজেপি-র পাশাপাশি ছিল মিম-ও।
এদিন বারুইপুরে সভা ছিল তৃণমূলের। তাতেই অংশ নেন ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী -সহ আরও অনেকে।
অন্য দিকে বিজেপি এ রাজ্যে হায়দরাবাদের পার্টিকে এনে ভোট ভাগ করতে চাইছে, বলে অভিযোগ ফিরহাদের। তিনি বলেন, ‘হায়দরাবাদের পার্টিকে এনে ভোট ভাগ করতে চাইছে। বাংলার মানুষ এত বোকা নয়। অনেকে ভাবছে ভাইজান এলে নতুন হয়তো কিছু হবে। কিন্তু ওদের পক্ষে গেলে নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারা হবে। সাম্প্রদায়িকতা কখনও উন্নয়ন দিতে পারে না। তাই বাংলার মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই থাকবেন। কেউ কেউ বলছে বাংলাকে গুজরাত বানাবে। গুজরাতে ২ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সবক্ষেত্রেই গুজরাতের থেকে বাংলা অনেক এগিয়ে। আমরা বাংলাকে গুজরাত করতে চাই না। চম্বলের ডাকাত ঠিক করবে মানুষ কাকে ভোট দেবে! মানুষের সেবা করতে চাইলে মমতার সঙ্গে থাকুন।’ পাশাপাশি এদিনের জনসভা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে মিমি বলেন, ‘জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য কেউ কেউ অশালীন কথা বলছে। দলিত মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারল, নিরাপত্তা পেল অভিযুক্তরা। রাম-রহিম দিয়ে তো ভোট হয় না। বাংলা এই ভয়ের কাছে মাথানত করবে না।’