নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউন পর্ব থেকেই ধীরে ধীরে আনলক পর্বে প্রবেশ করছে সারাদেশ। এরই মধ্যে এ রাজ্যেও খুলে গিয়েছে একাধিক কাজের ক্ষেত্র। এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্কবাণী দিয়েছিলেন সর্তকতা অবলম্বন না করলে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। তাই করোনা সচেতনতায় এবার মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবাণীর ক্যাসেট বাজবে পাড়ায় পাড়ায়।
ডেঙ্গু সচেতনতার পর এবার করোনা সচেতনতায় পাড়ায় পাড়ায় বাজবে মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবাণী। এমনটাই স্থির করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ কথা জানিয়ে বলেন, “মানুষকে সচেতন করতে পাড়ায় পাড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাসেট বাজানো হবে”।
শহরে একাধিকবার ট্যাবলো বার করে, গান বাজিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াস নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এই সচেতনতা তালিকায় যেমন রয়েছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের নিয়মাবলী তেমনি এই তালিকায় স্থান পেয়েছে বেআইনিভাবে পার্কিং রোধ করার পরামর্শ। এছাড়াও কলকাতা পুরসভার পাঁচ বছরের কর্মকাণ্ডের খতিয়ান তুলে ধরেও পাড়ায় পাড়ায় ট্যাবলো ঘুরে ছিল। এইবার করোনা প্রতিরোধে সচেতন করতে সাধারণ মানুষকে এই একই পন্থা অবলম্বন করল রাজ্য সরকার। কিন্তু ট্যাবলো পথে ঘুরিয়ে নাকি পাড়ায় মাইক বেঁধে মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবাণীর ক্যাসেট চলবে সে বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।
এতদিন শহরে কলকাতা পৌরসভার কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছিলেন। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছিলেন কারোর জ্বর গলাব্যথা রয়েছে কিনা। এই সব কর্মকাণ্ড সাথেই এবার যোগ হলো মুখ্যমন্ত্রী সতর্কবাণী পাড়ায় পাড়ায় বাজানোর প্রক্রিয়া।
এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানান, “করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। কলকাতার মানুষের কাছে আরো প্রচার আমরা করছি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী সতর্কবাণীর ক্যাসেট পাড়ায় পাড়ায় বাজানো হবে।”অন্যদিকে সচেতনতার দায় সাধারণ মানুষকেই নিতে হবে। সচেতন না হলে করোনাকে হারানো যাবেনা বলে মত প্রকাশ করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, “লকডাউন কতদিন চলতে পারে, এর মধ্যেই মানুষকে সচেতনতা অবলম্বন করে পথে নামতে হবে।”