পাঁচ হাজার দলিতকে পুরোহিতের মর্যাদা, ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ভিএইচপির

রক্তিম দাশ, কলকাতা: ভারতীয় হিন্দু সমাজে বর্ণ বৈষম্য আর অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আবারও এগিয়ে এল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ(ভিএইচপি)। দেশজুড়ে পাঁচ হাজার দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে পুরোহিতের মর্যাদা দিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। যা ভিএইচপি-র ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন প্রান্তের দলিত সম্প্রদায়ের এই পাঁচ হাজার মানুষকে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিয়ে পৌরহিত্যর পাঠ শিখিয়েছে বিশ্বহিন্দু পরিষদ। যা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে দেশজুড়ে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনশাল বুধবার যুগশঙ্খকে বলেন,‘ ভিএইচপি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই হিন্দু সমাজে বর্ণ বৈষম্য এবং অস্পৃশ্যতা দূর করার জন্য কাজ শুরু করে। ১৯৯৯-তে কর্ণাটকের উদুপিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সম্মেলন থেকে বার্তা দেওয়া হয়, সমস্ত হিন্দুই ভাই-ভাই। কেউ অস্পৃশ্য নন। শুধু তাই নয়, এই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৯ সালে অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন দলিত সমাজের প্রতিনিধি কামেশ্বর চৌপাল। ভিএইচপি নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য সাধু-সন্তরা ১৯৯৪ সালে কাশিতে অনুষ্ঠিত ‘ধর্ম সংসদে’ আমন্ত্রণ জানাতে ‘ডোম রাজার’ বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং এমনকী সেখানেও তাঁরা একত্রে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন।’
বিনোদ বনশাল বলেন,‘ হিন্দু সমাজে বর্ণবৈষম্যর মতো কুপ্রথা দূর করতে দেশজুড়ে ৫ হাজার দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে পৌরহিত্যের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতে ভিএইচপির উদ্যোগে ২,৫০০ পুরোহিত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এই প্রশিক্ষিত পুরোহিতরা সরকার পরিচালিত মন্দিরগুলোর প্যানেলেও অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। আমরা দক্ষিণ ভারতে এই বিষয়ে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল অর্জন করেছি। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে অনেক দলিত পুরোহিত রয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশেও প্রচুর দলিত পুরোহিত রয়েছেন’।
জানা গিয়েছে, ভিএইচপির পক্ষ থেকে দলিত পুরোহিতদের প্রশিক্ষণ শেষে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্ব ক্ষেত্র সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন,‘ এই কর্মসূচি আমরা অনেকদিন থেকেই করে আসছি বিভিন্ন রাজ্যে। আগামী এধরণের প্রশিক্ষণ বাংলাতেও আমাদের করা ইচ্ছা রয়েছে।’