যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বিপর্যস্ত গোটা বিহার। বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৭১ লক্ষ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।
শুক্রবার দ্বারভাঙা জেলায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ইতিমধ্যেই বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে ১৬টি জেলা। শুক্রবার নতুন করে আরও ১৪টি পঞ্চায়েত এলাকায় বন্যার জল ঢুকেছে। একদিনে বন্যায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২ লাখ।
জানা গিয়েছে, বিহারের বন্যায় এ যাবৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৭১.১৬ লক্ষ মানুষ। শুধু দ্বারভাঙায় বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ (১.৯ লাখ)। এখনও পর্যন্ত বন্যায় দ্বারভাঙায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৯ জনের। এ ছাড়াও মুজফফরপুরে ছয়জন, পশ্চিম চম্পারণে চারজন এবং সিয়ান ও সরণ জেলায় ২ জন করে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে বন্যায়।
শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১১৮৫টি পঞ্চায়েত এলাকা বন্যা কবলিত ছিল। আরও ১৪টি পঞ্চায়েত এলাকা বন্যায় ডুবে যাওয়ার সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছে ১১৯৯-এ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১৬৫টি পঞ্চায়েত এলাকা বন্যার জলে ডুবে ছিল। মূলত নেপালে উৎপন্ন হওয়া বেশ কিছু নদীর জল হু হু করে ঢুকছে বিহারের উত্তরভাগে। তার জেরেই ক্রমশ খারাপ হচ্ছে বিহারের বন্যা পরিস্থিতি।
দ্বারভাঙা, মুজফফরপুর, পশ্চিম চম্পারণ, সিয়ান ছাড়াও বিহারের সীতামারী, সুপাল, পূর্ব চম্পারণ, সেওহার, কৃষ্ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাধেপুরা, মধুবনি, সমস্তিপুর, এইসব জেলাও বন্যায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিহারের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। গণ্ডক, বুড়ি গণ্ডক ও অন্য কোনও নদীর কাছে পাড় ভেঙেছে কিনা কিংবা সব জলাধার এবং বাঁধ সঠিক অবস্থায় রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিহারে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য এনডিআরএফ এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল মিলিয়ে মোট ৩৩টি টিম কাজ করছে। ইতিমধ্যেই ৪.৯৫ লক্ষ মানুষকে জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২,২৩৯ জন মোট ৮টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।