
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছে না অসমে। কয়েকদিন আগেই অসমে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ফের দুর্যোগের মেঘ অসমে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলিতে তো বটেই, গোটা উত্তরপূর্ব ভারত জুড়েই এক ভয়ানক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অসম ও মেঘালয়ে কমপক্ষে ২২ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
আবহওয়া দফতর খবর অনুযায়ী, উত্তরপূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মৌসিনরাম, একদিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বৃষ্টি হয়েছে ১০০৩.০৬ মিলিমিটার। জুন মাসে এক দিকে যা সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড করেছে। অন্য দিকে পার্শ্ববর্তী চেরাপুঞ্জিতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৯৭২ মিলিমিটার। একই রকম ভাবে খারাপ অবস্থা অসমের। এখনও পর্যন্ত অসমে ধস ও বন্যার দাপটে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৫-তে পৌঁছে গিয়েছে।
অসমে মৃত্যুর খবর এসেছে, হোজাই, নলবারী, ধুবরি, কামরূপ, কোকড়াঝাড়, সোনিতপুর জেলা থেকে। সরকারি হিসাব অনুসারে অসমের মোট ২৮ জেলার ১৯ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে ডিাম হাসাও, গোয়ালপাড়া, হোজাই, কামরূপ ও মরিগাঁও এলাকায়। ২, ৯৩০, গ্রামে প্রায় ১ লক্ষ ৬ হাজার ৬৭৭ জনকে ৩৬৩টি আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অসমের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল।
বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র, কোপিলি, মনস, জিয়া-ভরলি। কাজ বন্ধ দকরে দেওয়া হয়েছে লোয়ান সুবাংসিড়ি হাইড্রলিক পাওয়ার প্রজেক্টের। সরকারি হিসাব অনুসারে ২৩৪টি রাস্তা ও ১৬টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলচর, গুয়াহাটি, শিলং ও আগরতলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন।