বন্যায় বিপর্যস্ত গোটা মালদা, হুঁশ নেই রাজ্যের সরকারের: বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু

মিল্টন পাল, মালদা: প্রতিবছর মালদা জেলায় বন্যা ভাঙন অন্যতম সমস্যা। আর তার মোকাবিলায় রাজ্যে পুরোপুরি ব্যর্থ। এই সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানাতো দূরের কথা ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্য। আর যার ফায়দা লুঠছে জেলা নেতৃত্ব বললেন, উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। ইতিমধ্যে মহানন্দার জলে ইংরেজবাজার পুরো এলাকার বেশ কিছু ওয়ার্ড নতুন করে জলমগ্ন।
অন্যদিকে টাঙ্গন নদীর জলে প্লাবিত পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। মুচিয়া এলাকায় বহু মানুষ জলবন্দি হয়ে গিয়েছে। কালিন্দি, পূনর্ভবার জলও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার।
আরও পড়ুন:বিদ্যা কসম শকুন্তলাদেবীজি
অন্যদিকে মহানন্দা নদীর জলে জলমগ্ন ইংরেজবাজার পৌরসভার ৮, ৯, ১২,১৩,২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন এখনও পর্যন্ত পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁরা কোনও সাহায্য পাননি। একদিকে করোনা পরিস্থিতি অন্যদিকে নদীর জল প্লাবিত হওয়ার কারণে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে সাধারণ মানুষ।এদিকে ত্রাণ বন্টন ও বন্যা মোকাবিলা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রতুয়ায় ফুলহারের জলে প্লাবিত হয়েছে নিউ বিলাইমারী, কাটাহা দিয়ারার বিস্তীর্ণ অংশ। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে গ্রামবাসীরা। তারা নিজেদের উদ্যোগে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এখনও মেলেনি সরকারি সাহায্যে।
আরও পড়ুন:স্পর্ধার ১০০, ঘৃণার আঁধারে আজ মশালের শিখা, লাল হলুদ বিপ্লবের সাক্ষী ইতিহাস
উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, গোটা জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল ঢুকেছে। কিন্তু এই সরকার ও পুরসভা উদাসীন।ভাঙন ও বন্যা মোকাবিলার কাজ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় সরকার বৈঠক ডাকে এই সরকারের কোনও প্রতিনিধি সেখানে যায় না। এই রাজ্যের সমস্যার কথা তুলে ধরে না। তাও সরকার বন্যা ও ভাঙন মোকাবিলার কাজে অর্থ বরাদ্দ করে। সেই অর্থ লুটপাট করে খেয়ে নেয় এখানকার শাসকদল। আমফানের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে।
ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দুলাল সরকার বলেন, প্রত্যেক কাউন্সিলরকে ত্রিপল বরাদ্দ করা হয়েছে। যেখানে যেখানে শহরের জল প্রবেশ করেছে সেগুলো সবই নদীর অসংরক্ষিত এলাকা। আর সেখানকার মানুষকে এলাকার উঁচু জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিজেপির জনপ্রতিনিধি যারা রয়েছেন বিধায়ক সাংসদ তারা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিন্তু মানুষের জন্য কিছু করছেন না। যা করার রাজ্য সরকারি করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলহার ও গঙ্গা নদীতে ভাঙন মোকাবিলার কাজ জোরকদমে করার জন্য সেচ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।