প্রধানমন্ত্রী আদিবাসী যোজনা প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণা, পলাতক স্বামী-স্ত্রী

শ্যাম বিশ্বাস, উত্তর ২৪ পরগনা: প্রধানমন্ত্রী আদিবাসী যোজনা প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় পলাতক স্বামী-স্ত্রী। বসিরহাট মহাকুমার টাকি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অগ্রদানী পাড়ার ঘটনা। বছর পঁচিশের যুবক দেবাশীষ দাস তাঁর স্ত্রী ঝুমা দাস প্রধানমন্ত্রীর আদিবাসী যোজনা প্রকল্পের মোট ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় শতাধিক আদিবাসী মানুষের কাছ থেকে মোট ২০ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছিল বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন- “বিদ্যাধরী নদী বাঁচাও”, বাসন্তী হাইওয়েতে মৎস্যজীবীদের পথযাত্রা]
প্রতারিতরা বেলা সরদার ও গোপীনাথ সরদার বলেন, ২০১৮ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী আদিবাসী যোজনা প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে, কারোর কাছ থেকে ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৩০ হাজার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে তাঁরা। রবিবার যাঁদের কাছ থেকে লোন দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিল সেইসব ব্যক্তিরা একত্রিত হয়ে এই প্রতারক-এর বাড়িতে আসে। তাদের দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বামী-স্ত্রী। তারপর প্রতারকের বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
সূত্রের মারফত জানা গিয়েছে যে, দীর্ঘ দুই বছর ধরে বসিরহাট মহাকুমার বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে শতাধিক গ্রামবাসীদের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। প্রতারকের বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন আদিবাসীরা। পলাতক দেবাশীষ দাস ও তার স্ত্রী ঝুমা দাস।