যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ এর জেরে অসমের হাসপাতালগুলিতে রোগীর সংখ্যা মাত্রাছাড়া। অন্যদিকে পরিষেবার আয়োজনের তুলনায় প্রয়োজন বেশি হয়ে পড়ায় বেশ বিপাকে পড়েছে অসমের স্বাস্থ্য দপ্তর। গুয়াহাটির সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা আক্রান্তরা যদি হাসপাতালে ভিড় না করে বাড়িতে থেকে চিকিত্সা করান তাহলে তাঁদের পাশে সবরকম সহযোগিতা নিয়ে থাকবে সরকার। একথাই বললেন অসমের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। শুধু বিনামূল্যে ওষুধই নয়, বিভিন্ন শহরের হোম আইসোলেশনে থাকা আক্রান্তরা টেলি মেডিসিনের সুবিধাও পাবেন সরকারের তরফে। যেসব করোনা আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অক্সিমিটার দেবে রাজ্য।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা রবিবার টুইট করে জানান, ‘কাল থেকে গুয়াহাটি শহরে হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড রোগীদের পাল্স অক্সিমিটার যন্ত্র এবং ওষুধপত্র সরকারি ভাবে দেওয়া হবে বিনামূল্যে। আমরা টেলিমেডিসিন পরিষেবার পরিধিও আরও বাড়াচ্ছি দ্রুত।’
From tomorrow, we will provide patient preferring to stay in home isolation a pulse oximeter and first-line supportive medicine completely free in Guwahati City. We have also activated the Tele Medicine service for them through 104. will expand it further to other places soon.
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) August 9, 2020
সারা দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই উত্তর-পূর্বেও বেশ গতি নিয়েছে করোনা সংক্রমণ। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা। মৃত্যুও ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলির শয্যায় টান পড়েছে। তাই কয়েক দিন আগে থেকেই উপসর্গ মারাত্মক না হলে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অসমবাসীকে। শহরগুলিতে চালু হয়েছে টেলিমেডিসিন পরিষেবাও। এবার আস্তে আস্তে তার পরিধি বাড়ানো হবে শহরের বাইরেও।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সঙ্কট, সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মুখে লেবাননে পদত্যাগ দুই মন্ত্রীর
এই প্রসঙ্গে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “সোমবার থেকে গুয়াহাটির হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্তরা বিনামূল্যে ওষুধ ও পালস অক্সিমিটার পাবেন। তাঁদের জন্য আমরা খুব শিগগির টেলিমেডিসিন পরিষেবাও চালু করতে চলেছি। খুব শিগগির এই পরিষেবা অন্যত্রও শুরু হবে।” উত্তরপূর্ব ভারতের মধ্যে সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে অসমেই। সবমিলিয়ে সেখানে মোট করোনা আক্রান্ত ৫৭ হাজারেরও কিছু বেশি। রবিবার মৃতের সংখ্যা ১৪০ ছুঁয়ে ফেলল। এই মুহূর্তে সংক্রামিত রয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি বাসিন্দা। রাজ্য সরকারের তরফে মিশ্র লকডাউন চালু রয়েছে। কনটেইনমেন্ট জোন ও হটস্পটে কড়া বিধিনিষেধ রয়েছে। যেসব এলাকায় তুলনায় সংক্রমণ কম সেখানে লকডাউন খানিকটা শিথিল। সংক্রমণের জেরে মৃত্যু কমাতে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের প্লাজমা দানে উত্সাহ দিচ্ছে অসমের সরকার।
অসমের আগে, দিল্লিতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল জুন মাসে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছিলেন, হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড রোগীদের বিনামূল্য অক্সিমিটার ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে দিল্লি সরকারের তরফে। এর ফলে গত এক মাসে বাড়িতে থাকা কোনও রোগীর মৃত্যু হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।