ভয়ানক পরিণতি, মুসলিম ধর্মগুরুর কার্টুন দেখানোয় শিক্ষকের মুণ্ডু কেটে নিল জঙ্গিরা

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর ‘দোষ’ ছিল শুধু ইসলাম ধর্মগুরুর কার্টুন দেখিয়েছিলেন। আর তার জন্যই এত ভয়ানক সাজা পেতে হবে তা হয়তো কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি ফরাসি শিক্ষক। স্কুল চত্বরের বাইরে মাথা কেটে নিল জঙ্গিরা। আর এই ঘটনাকে ‘ইসলামি সন্ত্রাস’ বললেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁকর।
এদিকে শিক্ষকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষকের উপর হামলার আগে আততায়ীকে বার বার বলতে শোনা গিয়েছিল ‘আল্লাহ আকবর’ । মুসলিম ধর্মগুরুকে নিয়ে মত প্রকাশ করায় জিহাদের বলি হয়েছেন ফরাসি শিক্ষক, এমন বক্তব্য পুলিশেরও। জানা গিয়েছে, প্যারিস থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে একটি স্কুল চত্বরের সামনে এই ঘটনা ঘটে শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার সময়। স্কুল থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শিক্ষক। সেই সময় আততায়ীরা হামলা চালায় তাঁর উপরে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। কী ঘটনা ঘটেছিল স্কুলে?
পড়ুয়াদের অভিভাবকদের বক্তব্য, ওই শিক্ষক ছিলেন মুক্ত চিন্তার মানুষ। কোনও ধর্মের প্রতিই তাঁর আক্রোশ ছিল না। তিনি শুধু নিজের মতামত জানাতেন। ক্লাসে ছাত্রদের মুসলিম ধর্মগুরু মহম্মদের কার্টুন দেখিয়ে নিজের বক্তব্য রাখছিলেন শিক্ষক। তবে তার আগে ক্লাসের মুসলিম ছাত্রদের বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন তিনি। শিক্ষক বলেছিলেন, ‘আমি কারও মনে আঘাত দিতে চাই না। সত্যিটা শুধু তুলে ধরব। আমার মুসলিম ছেলেমেয়েরা, তোমরা কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যাও।’ সেই দিনই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে জঙ্গি হামলার শিকার হন শিক্ষক। ফরাসি কার্টুন পত্রিকা শার্লি এবদো-র অফিসে মৃত্যুহানার পিছনেও ছিল নিয়মিত মহম্মদ বা ইসলাম ধর্ম ইত্যাদি নিয়ে তীব্র ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করা। ২০১৫ সালে ইসলাম ধর্মগুরুর কার্টুন ছাপানোয় পত্রিকার দফতরে হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় শেরিফ ও সঈদ কুয়াচি নামের দুই ভাইয়ের। নিজেদের আলকায়দর ইয়েমেন শাখার জঙ্গি বলে পরিচয় দেয় তারা। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান পত্রিকার ১২ জন শিল্পী ও কর্মী। তার তিন দিনের মধ্যে ফের হামলা চালিয়ে আরও পাঁচ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা।