নন্দীগ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে উদ্ধার তাজা বোমা, এলাকায় চাঞ্চল্য

মিলন পণ্ডা, (পূর্ব মেদিনীপুর): ফের খবরের শিরোনামে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম। বৃহস্পতিবার সকালে নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুনসুরা বিবির বাড়ির গ্যা রেজ থেকে উদ্ধার হল দুটি তাজা বোমা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আবার নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের প্রধান মনসুরার স্বামী সাহউদ্দিনের অনুগামীরা। ঘটনায় স্থানীয় নন্দীগ্রাম থানার খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুটি তাজা বোমা উদ্ধার পর তারপরে নিষ্ক্রিয় করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এলাকায় বিজেপি নেতৃত্বরা পুলিশ ও প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক কয়েকদিন আগে আমফান দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মনসুরা বিবি। দলের নির্দেশে তাকে প্রধান পদ ছাড়তে হয়েছিল। এরপর ফের প্রধান নির্বাচনের সময় আবারও প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন মনসুরা। এরপরই দলের নির্দেশ অমান্য করাতে দল থেকে বহিষ্কার করা প্রধান মনসুরা বিবি ও তার স্বামী তথা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা সেক সাহউদ্দিনকে।এলাকায় সব সময় বোমা গুলিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠে নন্দীগ্রাম। রাতের অন্ধকারে নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় বোমাবাজি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।
ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় নন্দীগ্রাম থানার খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে হাজির হয় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ বাহিনী। তারপরে দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং পরে তা নিষ্ক্রিয় করে। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে সাহউদ্দিনের অনুগামীরা নন্দীগ্রামের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি এভাবে চক্রান্ত করে সাহউদ্দিনকে ফাঁসানো হচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে অনুগামীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ দোষীদের গ্রেফতারে আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়।
তৃণমূল প্রধান মনসুরা বিবি ও তার স্বামী সাহউদ্দিন বলেন, “রাজনৈতিকভাবে কেউ পেরে উঠছে না। তাই এভাবে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার জন্য চক্রান্ত করছে। তৃণমূলেরও লোকজন এই ঘটনা ঘটাতে পারে। এই ঘটনায় আমাদের কোনও হাত নেই। গোটা ঘটনায় আমি তদন্তের জন্য নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ জানাবো।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় আসলে তৃণমূল কর্মীদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেব’ আশ্বাস দিলীপ ঘোষের
ঘটনার পর কটাক্ষ করতে ছাড়নি বিজেপি নেতৃত্বরা। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “যার বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে তাকে পুলিশ এখনও কেন গ্রেফতার করেনি সেটাই মূল বিষয়। তৃণমূল- কংগ্রেস প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েই ভোটের আগে বোমা বন্ধুক জমা করছে নন্দীগ্রামে। যাতে নন্দীগ্রামকে খাগড়াগড় বানানো যায়।
“যদিও হলদিয়া মহকুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততার কারণে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।