‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত্ নিয়ে খেলছেন কয়েকজন’ মোদিকে চিঠি ১৫০ শিক্ষাবিদের
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: NEET ও JEE পরীক্ষা করোনা সঙ্কটে হওয়া উচিত নাকি নয়? এই নিয়ে বিভক্ত গোটা দেশে। কেউ পরীক্ষা হওয়ার পক্ষে তো কেউ করোনা আবহে পরীক্ষা না হওয়ার পক্ষে। উত্তেজজনক পরিস্থিতির মঝেই সর্বভারতীয় ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা ‘নিট’ এবং ‘জেইই’ (মেন) যদি আরও দেরিতে হয়, তাহলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে আপোষ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীকে এই মর্মেই চিঠি পাঠিয়েছেন দেশ ও বিদেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড়শোরও বেশি শিক্ষাবিদ।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পরীক্ষা না-পিছোনোর দাবিতে সরব হলেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁদের অভিযোগ, ‘নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত্ নিয়ে খেলছেন কয়েকজন।’ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ছাত্র ও যুবরা দেশের ভবিষ্যত্ কিন্তু কোভিড ১৯ অতিমারীর কারণে তাঁদের কেরিয়ারের উপর অনিশ্চয়তার কালো মেঘ ছেয়ে গিয়েছে। ভর্তি ও ক্লাস নিয়ে প্রচুর সমস্যা রয়েছে, যত শীঘ্র সম্ভব সে গুলির সমাধান করা প্রয়োজন।’ শিক্ষাবিদদের মতে, প্রতি বছরের মতো এ বছরও লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেছেন। তাঁরা এখন বাড়িতে বসে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন।
নিট ও জেইই-পিছোনোর দাবি প্রসঙ্গে চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘সরকার জেইই মেইন ও নিটের তারিখ ঘোষণা করেছে…পরীক্ষাগুলি আরও দেরি হলে, ছাত্রছাত্রীদের মহা মূল্যবাণ বছর নষ্ট হয়ে যাবে। যদিও কয়েকজন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ও সরকারের বিরোধিতা করার জন্য ছাত্রদের ভবিষ্যত্ নিয়ে খেলা করছে।’
আরও পড়ুন: পাঁচ হাজার দলিতকে পুরোহিতের মর্যাদা, ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ভিএইচপির
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, ইগনু, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ-সহ মোট ১৫০ জন সেই চিঠিতে এ-ও লিখেছেন,”আমরা বিশ্বাস করি সরকার সব সতর্কতা মেনেই সফল ভাবেই JEE ও NEET পরীক্ষা নিতে পারবে, যাতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতে কোনও ক্ষতি না হয়।”
ট্রেন চলছে না পরীক্ষার্থীরা দূরের পরীক্ষা কেন্দ্রে কীভাবে পৌঁছবে? কিংবা পরীক্ষার্থীরা সংক্রমিত হলে তার দায় কার? এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন তুলছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। করোনা আবহে পরীক্ষার বিরোধিতা করেছিলেন রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দোপাধ্যায় ও দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী-সহ আরও অনেকে। এমনকী পরীক্ষা করানোর প্রতিবাদে গতকাল একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সেরেছেন সোনিয়া-মমতা। সেখান থেকে পরীক্ষার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন গ্রেটা থুনবার্গ ও সোনু সুদও।