২০২১ এ-ই খেলা হবে ,চোখে চোখ রেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান দিলীপের

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, রানাঘাট: খেলা হবে ২০২১ এ-ই। চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের অঙ্গীকার রানাঘাটের সভা মঞ্চ থেকে। বিরোধীদের কন্ঠরোধ করে বাংলায় গনতন্ত্রকে হত্যা করেছে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল । সীমাহীন অত্যাচারে বাংলার মানুষ বীতশ্রদ্ধ। বাংলার কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে চলেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার।আর এক মুহূর্তও বাংলার শাসন ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই এই দূর্নীতি গ্ৰস্থ তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্যের মানুষ প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে, বাংলায় পরিবর্তন হবেই।
আসন্ন ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক দলটিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। দলের কর্মী সমর্থক সহ সর্ব স্থরের নাগরিক বৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় আগামীতে দেশের সর্ব বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিজেপি বাংলার শাসন ক্ষমতায় আসছে এবং রাজ্যে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ,সবকা বিশ্বাসের সরকার গঠনের মধ্যদিয়ে তৃণমূলের অপশাসনে বঞ্চিত করে রাখা বাংলাকে আমরা সোনার বাংলায় পরিণত করবো।২৬ শে নভেম্বর নদিয়ার রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগরের দলের জনসমাবেশ মঞ্চ থেকে এই বার্তা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন রানাঘাটের সভার আগে কৃষ্ণনগরের আসননগরে একটি সভা করেন, কৃষ্ণনগরের আসননগর সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর হাতে খুন হওয়া বিজেপির যুবনেতা বাপী ঘোষের পরিবারের হাতে দলের পক্ষ থেকে চেক তুলে দেন দিলীপ বাবু।
বামফ্রন্টের জনবিরোধী বনধকে উপেক্ষা করেই দলের দুটি সভাতেই নদিয়া জেলার বিভিন্ন মন্ডলের নেতাকর্মীরা কাতারে কাতারে জমায়েত হয়ে জনসভা দুটি ভরিয়ে তোলে।বিজেপি নদিয়া দক্ষিণ জেলার উদ্দোগে রানাঘাট কুপার্স বাজার সংলগ্ন বিধান স্মৃতি উদ্দানে আয়োজিত জনসভা শেষ পর্যন্ত কর্মী সমর্থকদের মহাপ্লাবনে মহাসমাবেশে পরিনত হয়। রানাঘাটের সভায় অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, সহ সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ জ্যোতির্ময়ী সিকদার, বিজেপি নেতা তথা রাজের প্রাক্তন মন্ত্রী বঙ্কিম ঘোষ, বিজেপি নদিয়া জেলা দক্ষিণের অবজারভার অনুপম দত্ত, বিজেপি নদিয়া জেলা দক্ষিণের সাংগঠনিক সভাপতি অশোক চক্রবর্তী, বিজেপির রাজ্য সদস্যা ডাঃ অর্চনা মজুমদার, বিধায়ক আশীষ কুমার বিশ্বাস সহ একাধিক নেতৃবৃন্দ। দিলীপ বাবুর আজকের সভা দুটিতে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা, ২০২১ এ, চোখে চোখ রেখে তৃণমূলের সঙ্গে হবে লড়াই এবং এই লড়াইয়ে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে সত্যের জয় হবেই।
রাজ্যে দশ বছরে বেড়ে ওঠা তৃনমূল কংগ্রেস নামক আগাছা গাছটিকে শিকড় সমেত উবড়ে ফেলে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।২১ এর মে মাসের পর, রাজ্যে তৃণমূল দলটি সাইনবোর্ডে পরিনত হবে,নেতা কর্মীদের অধিকাংশই ঠিকানা হবে শ্রীঘর।আর যে সমস্ত পুলিশ অফিসার সহ পুলিশ কর্মীরা তৃনমূলের দাসত্বগিরি করছেন, বাংলার মানুষ আপনারা তাদের কে চিহ্নিত করে রাখুন, ক্ষমতায় এসে এদেরকে আমরা উপযুক্ত শিক্ষা দেব। আজ রানাঘাটের জনসভায় শাসক তৃণমূল সহ কংগ্রেস ও সিপিএমের একাধিক প্রাক্তন কাউন্সিলর, প্রাক্তন পঞ্চায়েত মেম্বার সহ ওবিসি ও তার সংখ্যালঘু পরিবার থেকে মোট চার শতাধিক নেতাকর্মী বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপি তে যোগদান করেন।