
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে গেহলট থাকবেন কি, থাকবেন না, তাই নিয়ে প্রবল উত্তপ্ত মরুরাজ্য। শচীন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না গেহলট অনুগামীরা। এই অবস্থায় হস্তক্ষেপ করেন সোনিয়া গান্ধী স্বয়ং। কংগ্রেসে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে কংগ্রেসের উর্ধতন কর্তৃপক্ষদের পাঠানো হয়। কংগ্রেসের হাইকমান্ডের তরফে প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কথা বলতে অস্বীকার করা হয় সূত্রের খবর।
জল্পনা ছিল, গান্ধী পরিবার বেজায় চটেছেন তাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অশোক গেহলটের উপরে। সভাপতি নির্বাচন থেকে বাদ পড়ার পাশাপাশি এবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদও খোয়াতে পারেন তিনি, এমন জল্পনাও শুরু হয়েছিল। শীর্ষ নেতৃত্ব চটলেও, আপাতত চিন্তার কারণ নেই অশোক গেহলটের। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর গদি আপাতত তাঁরই থাকছে বলে জানা গিয়েছে। তবে শাস্তি পাবেন গেহলট ঘনিষ্ঠ তিন বিধায়ক। দলের অন্দরে বিদ্রোহের পরিকল্পনা ও সূচনা করায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজস্থানের সংকট নিরসনে নিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে যে পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হয়েছিল, তারা দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। ওই রিপোর্টে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, সভাপতি নির্বাচন ও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে দলের অন্দরে যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল, তার জন্য দায়ী নন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হলে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন শচীন পাইলট, এই জল্পনা শুনেই গেহলট ঘনিষ্ঠ তিন বিধায়ক গোটা ইস্তফার কথা সামনে আসে। তাদের কখা মেনেই ৯২ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।