fbpx
দেশহেডলাইন

কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে গদি টালমাটাল গেহলটের, হস্তক্ষেপ সোনিয়া গান্ধীর

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। এদিকে রাহুল গান্ধী সভাপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসের কেউ সভাপতি হবেন না। আর মধ্যে রাজনীতিতে জন্য জল্পনা শুরু হয়েছে। এই সভাপতি নির্বাচনে লড়ছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও কংগ্রেসের শশী থারুর। দুজনের মধ্যে জোর টক্কর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর যাও বা সম্ভাব্য সভাপতির খোঁজ মিলল, তাতে হিতে বিপরীত হয়ে রাজস্থানে ক্ষমতা হারানোর উপক্রম হল৷ আর এই সঙ্কট থেকে নিস্তার পেতে দুই প্রবীন নেতা অজয় মাকেন এবং মল্লিকার্জুন খার্গেকে দায়িত্ব দিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। রাজস্থানে দলের পর্যবেক্ষক পদে রয়েছেন তাঁরা। সোনিয়া গান্ধী বিদ্রোহীদের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন বলে জানিয়েছেন অজয় মাকেন৷

কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সব থেকে এগিয়ে রয়েছেন অশোক গেহলট৷ তিনি দলের সভাপতি হলে তাঁর জায়গায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে শচীন পাইলটকে৷ দলের এই ইচ্ছের কথা জানার পরই বিদ্রোহ করে বসেন গেহলট অনুগামী বিধায়করা৷ পাইলটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া আটকাতে ৯২ জন গেহলট অনুগামী নেতা রাজস্থান বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন৷ যদিও বিধায়করা আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার৷

২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮৷ ফলে ৯২ জন বিধায়ক ইস্তফা দিলে সরকারের পতন অনিবার্য৷ এই অবস্থায় রাজস্থানে রাষ্ট্রপতি জারি করার পক্ষে সওয়াল করেছে বিজেপি৷

বিদ্রোহ প্রকাশ্যে আসতেই অজয় মাকেন এবং মল্লিকার্জুন খার্গেকে বিদ্রোহী বিধায়কদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।

আগামী ১৭ অক্টোবর ভোট হবে। ভোটগণনা ১৯ অক্টোবর। ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়ন পরীক্ষা হবে ১ অক্টোবর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ অক্টোবর। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির ২৪ আকবর রোডের এআইসিসি সদর দফতর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়পত্র তুলতে হবে। তবে প্রতিটি রাজ্যেই ভোটদানের ব্যবস্থা থাকবে।

 

 

Related Articles

Back to top button
Close