বনধের প্রভাব পড়লো না মালদা জেলায়

মিল্টন পাল,মালদা: শ্রমিক সংগঠন ও বাম কংগ্রেসের বন্ধে প্রভাব পরলো না জেলায়। আর পাঁচটি দিনের মতই খোলা বিভিন্ন সরকারি অফিস, ব্যাংক, পোস্ট অফিস। চললো সরকারি বাসও। কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো এদিন রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল ছিল খুবই কম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বন্ধের সমর্থনে বাম কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা দলীয় ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন পকেট রুটের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বন্ধের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখায়। এদিন বেসরকারি বাস চলাচল পুরোপুরি বনধ ছিলো। হাতেগোনা কিছু সরকারি বাস চলাচল করেছে । তবে দোকানপাট বন্ধ করে এক প্রকার ছুটির আমেজ কাটিয়েছে অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা। মালদার ইংরেজবাজার থেকে সর্বত্রই এদিন সকাল থেকেই বাম ও কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতারা দলীয় ঝান্ডা হাতে নিয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে পিকেটিং করে। পাশাপাশি ের বুলবুলি মোড় এলাকায় সরকারি বাস থামিয়ে বনধ সমর্থকেরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় । সেই বাসের সামনে দাঁড়িয়েই চালককে মারতে উদ্যত হয় বনধ সমর্থকদের একাংশ বলে অভিযোগ। যদিও এই পরিস্থিতিতে পুরাতন মালদা থানার পুলিশ সামাল দেয়। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন এলাকায় বনধের সমর্থনে পোস্টার,ব্যানার নিয়ে মিছিল করে বাম ও কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। এদিকে শহরের অধিকাংশ এলাকার দোকান ছিল বনধ। কিছু মাছ ও সবজি বিক্রেতারা বাজারে বসে ছিলেন। কিন্তু তুলনামূলক বিক্রি ছিল কম।
কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি কালী সাধন রায় জানান,শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভেবে এদিন দেশব্যাপী বন্ধ ডাকা হয়েছিল।সেই বনধে মালদায় খুব ভালো সাড়া মিলেছে। দোকানপাট , বাজার সবই ছিল বন্ধ।কিছু সরকারি অফিস,ব্যাংক খোলা থাকলেও মানুষের কোন ভিড় ছিল না। তাতেই আমরা মনে করছি এই বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
মালদা বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় গাঙ্গুলী বলেন, বন্ধে কোনো সারা পরে নি । মানুষ কখনোই বন্ধ চাই না। বাম এবং কংগ্রেসের এই শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বকে লকডাউনের সময় বন্ধে থাকতে হতো। একটানা লকডাউনের মধ্যে মানুষকে দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। তার উপরেই বন্ধ কেউ কখনো সমর্থন জানাবে না। তাই এদিন বনধ সফল হয় নি।মানুষ স্বচ্ছল ভাবে প্রতিদিনেরমত বাইরে বেড় হয়েছে।
জেলা তৃণমূলের কো-অডিনেটর দুলাল সরকার বলেন,বন্ধ মানেই কর্মনাশা।তাই এই বন্ধকে সমর্থন করা যায় না। দীর্ঘ লকডাউনে মানুষকে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। তার ওপর কর্মনাশা বন্ধ সাধারণ মানুষ কোন ভাবেই মেনে নেয় নি। তাদের ইস্যু গুলি সঠিক। তাই এদিন বাম কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা বন্ধ সফল হয় নি।
জেলা সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র জানান,শ্রমজীবী মানুষদের স্বার্থের কথা ভেবে বন্ধ ডাকা হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনও সামিল হয়। বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।মানুষ স্বর্তসফুর্ত ভাবে বন্ধ পালন করেছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে মানুষ সর্মথন করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, এদিনের বন্ধকে ঘিরে কোনরকম বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে নি।পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ।