ঘাটাল পাঁশকুড়া রাস্তায় ইঁটের তাপ্পি নয়, চাই পূর্ণাঙ্গ সংস্কার

ভাস্করব্রত পতি, তমলুক: রাস্তা তো নয়, যেন মৃত্যুফাঁদ। গত এক বছরে খানাখন্দে ভরা এই রাজ্য সড়কে ৬২ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এই ঘাটাল পাঁশকুড়া বাস রাস্তায়। রাজ্য প্রশাসন চরম উদাসীন এহেন রাস্তার মেরামতিতে। অথচ এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত কলকাতা, হাওড়া সহ হুগলি, নাড়াজোল, গোপীগঞ্জ, সুলতাননগর, আরামবাগ, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, চন্দ্রকোনা, গড়বেতা, ক্ষীরপাই, খড়ার, রামজীবনপুর, পুরুলিয়া, ঘাটাল ইত্যাদি পথে অসংখ্য গাড়ি যাতায়াত করে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি এখন অবশ্য খণ্ডহর হয়ে রয়েছে।
অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য রাজ্য পূর্ত দপ্তরের তেমন কোনও হেলদোল লক্ষ্য করা যায়নি। প্রতিদিন দুর্ঘটনা লেগেই আছে। ভাঙাচোরা রাস্তাতে নিয়মিত খারাপ হচ্ছে বিভিন্ন গাড়ি। রাস্তাতেই মুখ থুবড়ে বিগড়ে পড়ে থাকছে। অথচ রাস্তা মেরামতির কোনো উদ্যোগ নেই। বহুবার আবেদন, নিবেদন, আন্দোলন করেও ঘুম ভাঙেনি সরকারের। এখানকার সাংসদও ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে রয়েছে।
সেই বেহাল ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে ইট দিয়ে তাপ্পি মারা নয়, অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করে পূজোর পূর্বে যাতায়াতের উপযোগী করা, ভারি লরি চলাচল নিয়ন্ত্রণ, যত শীঘ্র সম্ভব চার লেন করার দাবিতে ‘ঘাটাল পাঁশকুড়া পরিবহন যাত্রী কমিটি’র পক্ষ থেকে কেশাপাট বাজারে বিক্ষোভ অবস্থান ও মিছিল কর্মসূচি হয়। ৯ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। উপস্থিত ছিলেন কমিটির পক্ষে সুজিত মাইতি, দীপঙ্কর মাইতি, জগদীশ মন্ডল অধিকারী, স্নেহলতা সাহু প্রমুখ। অবিলম্বে উপরোক্ত দাবি আদায়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে যাত্রী সংগঠন। এই নরক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে চায় এখানকার মানুষ।