নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে ৩ অভিযুক্ত গ্রেফতার

কৃষ্ণা দাস, শিলিগুড়ি: এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল রাজগঞ্জ ব্লকে। গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবীতে সরব হল স্থানীয়রা সহ স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। রাজগঞ্জ থানায় এই ঘটনায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। তিন অভিযুক্তের আটদিনের পুলিশ হেফাজত হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজগঞ্জের সন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের লালস্কুল বালাবাড়ির বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ১৬ বছরের নাবালিকা মেয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরের দিনই মেয়েটির বাবা রাজগঞ্জ থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ জানান। সিআই দীপোজ্জ্বল ভৌমিকের নেতৃত্বে তদন্তে নামে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে যে, তারা মেয়েটিকে একাধিকবার গণধর্ষণ করে ১৫ আগস্টস্ট খুন করে সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছে। সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। শুক্রবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তুলে আটদিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়। অভিযুক্তদের নাম রহমান আলি ( ৩০ ), তার বাড়ি রাজগঞ্জের প্রধানপাড়া এলাকায়, জমিরুল হক ( ২৮ ), তার বাড়ি শৌলমারি এলাকায় এবং তমিরুল হক ( ৩২ ), তার বাড়ি সদর ব্লকের জহুরির ডাঙ্গামারি এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজার দাবীতে সরব হয় স্থানীয়রা। পাশাপাশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তোলে পরিবারের লোকজন সহ স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার মৃতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় এবং তৃণমূলের এসসি এসটি ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস । বিধায়ক বলেন, “এটি একটি নৃশংস ঘটনা। তাই অভিযুক্তদের ফাঁসি হওয়া উচিত। এছাড়া দোষী পুলিশ অফিসারদের বদলির দাবি করা হয়েছে।” কৃষ্ণ দাস বলেন, “১০ তারিখ নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর ১১তারিখ পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হয়। বারবার পরিবারের তরফে থানায় যাওয়া হয় ও কিছু প্রমানও পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। তা সত্বেও পুলিশ সেভাবে তদন্তে এগোয় নি। আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি এসপিকে অভিযোগ জানাই।
তারপরই পুলিশ নড়েচড়ে বসে ২০ তারিখ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে ও মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এতদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে গরিমসি হল। এসপিকে না জানালে বোধহয় আজও বিষয়টি জানা যেত না। আমি চাই অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক যাতে আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে কেউ সাহস না পায়।”