১লা নভেম্বর থেকে খুলছে গোন্দলপাড়া জুট মিল : লকেট

তাপস মন্ডল, হুগলি: সবাই হাসছেন। অথচ শেষ দু বছর ধরে গোন্দলপাড়া জুট মিলের শ্রমিকরা কাঁদছেন। সাংসদ হওয়ার আগে থেকেই আমি শ্রমিকদের কান্না শুনেছি। বুধবার চন্দননগর গোন্দলপাড়া জুটমিল সংলগ্ন এলাকায় একটি সভায় হাজির হয়ে এই কথাই বললেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন লকেট ওই সভায় বলেন, গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিকরা অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু এই রাজ্য সরকার যেভাবে ষড়যন্ত্র করে এই মিলটাকে বন্ধ করে রেখেছিল, তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। মনের মধ্যে জেদ রেখেছিলাম। গোন্দলপাড়া জুটমিল পুজোর আগে খুলেই ছাড়ব এবং গোন্দলপাড়া জুটমিল খোলা হচ্ছে। এরপরই লকেট বলেন, মা দুর্গা এই মহামারিতে এসেছেন। গোন্দলপাড়া জুট মিলের শ্রমিকদের জন্য অনেক বড় খবর নিয়ে। এই গোন্দলপাড়া জুটমিল পয়লা নভেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে। এদিন ওই সভায় লকেট চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা কর্মীরা।
[আরও পড়ুন- চাকরির দাবিতে নদিয়ার জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের]
এদিন ওই সভায় লকেট চট্টোপাধ্যায় চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে কটাক্ষ করে বলেন, একজন শিল্পী হিসেবে উনি শুধু গান গেয়ে বেড়ান। বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল, গোন্দলপাড়া জুট মিল বন্ধ। কিন্তু তিনি কি করেছেন প্রশ্ন তোলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, তিনি শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর পাশে পাশে গান গেয়ে চলেছেন। গান গাইতে গাইতেই হুগলির মানুষ তাকে কলকাতার রাস্তা দেখিয়ে দেবেন। চন্দননগরের তিনি কোনও কাজই করেননি বলে লকেট অভিযোগ করেন।
এরপর ওই সভায় লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে লোক দেখান গোন্দলপাড়া জুট মিল খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা ভেবেছিলেন শ্রমিকদের ভোট গুলি তৃণমূলের পক্ষে যাবে। কিন্তু যখন বুঝেছিল ভোট তৃণমূলের পক্ষে যাবে না। তখন তারা নির্দেশ দিয়ে এই মিল বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। এদিন চন্দননগরে সভা শেষ করে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় গোন্দলপাড়া জুটমিল সংলগ্ন এলাকার তৃণমূলের কর্মীরা লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বলে অভিযোগ। যদিও সাংসদের সঙ্গে পুলিশ থাকায় তৎক্ষনাত তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।