যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনায় ৫৭২ আর ৯৩১-এর তফাত নিয়ে খোঁচা! তথ্য লুকনো ছাড়ুক মমতার সরকার! হিসেব তুলে ধরে চড়া আক্রমণ রাজ্যপালের। এদিন টুইটে তিনি লেখেন, রাজ্যের তথ্যের কোনও মিল নেই। স্বাস্থ্যদফতর বলছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭২। রাজ্যের চিঠি বলছে ৯৩১। ১ মে এই সংক্রান্ত কোনও বুলেটিন নেই। ৯৩১ ও ৫৭২-এর মধ্যে ফারাক অনেক। সেটা এত সহজে মেটার নয়। যদি সব সংখ্যা যোগ করাও হয়, তাহলেও তা পূরণ হবে না।’ ধনকরের বক্তব্য, ‘এটা যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে যোগাযোগের অভাবের ফলে তা স্পষ্ট। আমি এসব সরিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, বিরোধীদের শকুনের সঙ্গে তুলনা বন্ধ করুন আর সকলকে সঙ্গে নিয়ে এই লড়াইয়ে এগোন।’
এর পাশাপাশি রেশন নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগও তুলে ধরেছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা রেশন ডিলারদের থেকে মাল তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। টুইটে রাজ্যপাল সেই অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল রেশনের ওই কেলেঙ্কারি বড় হচ্ছে। রেশনের জিনিস রাজনৈতিক হাইজ্যাক অপরাধ বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যবাসী কতটা খুশি, সমীক্ষা শুরু বঙ্গ বিজেপির
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ১০ এপ্রিল কেন্দ্রের তরফে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল লকডাউন সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না রাজ্যে। সামাজিক দূরত্বও মেনে চলা হচ্ছিল না। কেন্দ্রের সতর্কতা জারির পর রাজ্য সরকারের কাজে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে কেন্দ্রীয় দলের কাজ করতে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় দল আসার পরে রাজ্য সরকারের কাজে পরিবর্তন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
একের পর এক বিষয় নিয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। টুইটে চার বিজেপি সাংসদকে ত্রাণ বিতরণে বাধার অভিযোগ তুলেছিলেন। তার আগে তিনি রাজ্যে করোনা ভাইরাস নিয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশের ওপর জোর দিয়েছিলেন। ১৬ এপ্রিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলেন নিজের ১০০ শতাংশ দিন। আইসিএমআর নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্তের সাক্ষাত্কারকে হাতিয়ার করেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেছেন সময়ের প্রয়োজনে করোনা ভাইরাসে বিস্তৃত পরীক্ষা জরুরি। সরকারকে অ্যাকশন মোডে থাকারও উপদেশ দিয়েছিলেন তিনি। করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে ১০০ শতাংশ দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সংবিধানকে অনুসরণ করুন। টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।