
অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: দেশের সঙ্কটের সময়ে সব রাজনৈতিক দলের অর্জুনের লক্ষ্যে অবিচল থাকা উচিৎ। মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
রবিবার রাজভবনে এক সাক্ষাৎকারে সীমান্তে চিনের আগ্রাসন পরবর্তী রাজনৈতিক দলগুলির সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্জুন যেমন নিজের লক্ষ্যে অবিচল। ঠিক তেমনই দেশের অখন্ডতার স্বার্থে আপোস না করে সব রাজনৈতিক দলের অর্জুনের লক্ষ্যে স্থির থাকা উচিত। দেশের সংকটময় সময় একতা খুব জরুরী। এ সময় দেশছাড়া অন্য কোনও মানসিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আলোচনার মাধ্যমে যে একতা দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। একজোট হয়ে সবাই প্রথমবার খুব ভালো কাজ করেছে। আর সীমান্তে যে হিংসা হয়েছে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেই বার্তা ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এটা বদলে যাওয়া ভারত। আজ বিশ্বব্যাপী যোগ দিবস পালন তার সূচনাও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম কৃতিত্ব।’
পাশাপাশি এদিন ছিল আন্তর্জাতিক যোগা দিবস। রাজভবনের সেন্ট্রাল মার্বেল হলে সাড়ম্বরে পলিত হল আন্তর্জাতিক যোগা দিবস। ঋষি পতঞ্জলির প্রতিকৃতিতে সপত্নীক রাজ্যপাল ধনকর পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সপত্নীক সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে ক্রীড়া ভারতী। যোগা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘বিশ্ব তথা দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যোগ অভ্যাস মানসিক স্থিতি ও শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এ সময় মানবজাতি অদ্ভুত এক পরিস্থিতির মধ্যে আছে একদিকে করোনা আরেকদিকে পুরো মানব জাতি। কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মানবজাতি। এমন অবস্থা আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বাইরে বেরিয়ে উপস্থিত হতে পারছেন না। তাই আমি সমস্ত উপাচার্যদের চিঠি লিখে আন্তর্জাতীক যোগা দিবস উদযাপনের আবেদন জানিয়েছি। কারণ উপাচার্যরাই ছাত্র-ছাত্রী ও তরুণ প্রজন্মের কাছে রোল মডেল। তাই আশা রাখব যেভাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস কে সাফল্যমন্ডিত করে তোলা হয়েছিল। সেই একইভাবে বিশ্ব যোগা দিবসকেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাফল্যমন্ডিত করে তুলবে উপাচার্যরা।’
অন্যদিকে বর্তমান করোনা আবহে ভারত সরকারের আয়ুষ প্রটোকল যোগা সাধারণ মানুষকে নতুন দিশা দেখাচ্ছে বলে জানালেন ব্যাসার অধিকর্তা ড. অভিজিত ঘোষ।