
অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: রাজভবনের গোপন তথ্য বাইরে চলে যাচ্ছে, কিছুদিন আগেই এমন বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবার এই অভিযোগেই রাজভবনের ৫ জন অফিসার-কর্মীকে চিহ্নিত করে ফিরিয়ে নিতে বলে নবান্নে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল। এঁদের মধ্যে চার জন অফিসার পদের এবং এক জন জমাদার। নিজের চিঠিতে পরিষ্কার ৫ জনের নামও প্রকাশ করেছেন তিনি। এদেরকে ফেরত নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প কর্মী-অফিসার পাঠাতে বলা হয়েছে নবান্নকে।
নবান্ন সূত্রের খবর, যে কর্মীদের রাজ্যপাল সরাতে বলেছেন, তাঁরা হলেন রাজ্যপালের প্রেস সচিব মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজভবনের বিশেষ সচিব কুমারজীব চক্রবর্তী, পার্সোনাল সেক্রেটারি প্রশান্ত সরকার, হাউস কিপার মৌ মিত্র সরকার এবং জমাদার পার্থপ্রতিম ঘোষ। পাঁচ কর্মীকেই তাঁদের ‘পেরেন্ট ডিপার্টমেট’ অর্থাৎ তাঁরা সরকারের যে দফতর থেকে রাজভবনে কাজ করতে এসেছেন, সেখানে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু এখানে রয়েছেও এক বিশেষ সমস্যা। জানা গিয়েছে, মানব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে রাজভবনে নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রশান্ত সরকারকে নিয়োগ করা হয়েছিল অর্থ দফতর থেকে। কিন্তু মৌ মিত্র সরকার ও পার্থপ্রতিম ঘোষ রাজভবনের কর্মী। ফলে অন্যদের বদলি সম্ভব হলেও এই দু’জনকে কীভাবে অন্যত্র পাঠানো হবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
যদিও রাজভবনের এই দাবি নবান্ন মেনে নিতে পারে বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু মেনে নিলেও রাজ্যপাল যে নজরদারির অভিযোগ করছেন, তা পরোক্ষে মান্যতা দেওয়া হবে বলেই দাবি প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীই। স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠানো রাজভবনের এই চিঠিতে কোথাও লেখা নেই, কেন তাদের সরাতে বলা হচ্ছে। তবে কোনওভাবেই রাজ্যপালের নজরদারির অভিযোগকে মান্যতা দিতে নারাজ রাজ্য প্রশাসন।