জনপ্রিয়তার শীর্ষে ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’কে ছাপিয়ে গেল গুজরাটের ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। যা আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে ‘অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান’ বলে মন্তব্য করেছেন। গুজরাটের নর্মদা নদীর তীরে সাতপুরা ও বিন্ধ্যাচল পর্বতের মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ।
গুজরাট প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, করোনা আবহের আগে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৩ হাজার পর্যটক এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে আসতেন৷ লকডাউনের কারণে ৭ মাস বন্ধ ছিল এই স্ট্যাচুও৷ এরপর দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। এই করোনা আবহেও প্রচুর মানুষ ঐক্যের প্রতীক স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে আসছেন।
আরও পড়ুন- কৃষক বিক্ষোভে ট্রাক্টরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু একজনের
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ঐক্যের প্রতীক৷ গুজরাটের কেভাদিয়ায় স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ছাড়াও ডায়েট পার্ক, আরোগ্য ভ্যান এছাড়াও রিভার র্যাফটিং-এর ব্যবস্থা রয়েছে। আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হল যে, এখানে রয়েছে সর্দার প্যাটেল জুলজিক্যাল পার্ক। যেখানে ১১০০ ভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাণী এবং ৫ লক্ষ বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে৷ গোটা বিশ্বের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এই স্থান বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ভারতের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী বল্লভভাই পটেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি তৈরি হয় কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে। ১৮২ মিটার উঁচু এই মূর্তিটি তৈরি হয় মোদি সরকারের উদ্যোগেই৷ প্রায় ৬০ তলা বাড়ির মতো উঁচু এই মূর্তিটি বিশ্বের সবথেকে লম্বা ভাস্কর্য।