fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

কোভিড টেস্টের নামে শিক্ষকদের হয়রানি ! প্রতিবাদে সোচ্চার শিক্ষক সংগঠন

যুগশঙ্খ প্রতিবেদন, কাটলিছড়া: কোভিড টেস্টের নামে হাইলাকান্দি জেলায় শিক্ষকদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসন সহ শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হলেও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা দুই আড়াই ঘন্টা বিলম্বে পৌঁছানো, টেস্টে বিলম্বের ঘটনায় শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। লালার কালাছড়া এন টি মডেল হাইস্কুলে সোমবার সকাল দশটায় শিক্ষকরা উপস্থিত হলেও স্বাস্থ্য কর্মীরা বেলা সোয়া বারোটা নাগাদ পৌঁছান।

ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে এর আগে স্কুল ক্যম্পাস থেকে বেরিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ সহ জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসব বিভিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা প্রবাহের প্রেক্ষিতে কোভিড টেস্টের নামে শিক্ষকদের হয়রানি কোন অবস্থায় মেনে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল হাইলাকান্দি জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন। সোমবার এক বিবৃতিতে হাইলাকান্দি জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি জিবিতেষ দাস ও সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ লস্কর কোভিড টেস্টের নামে শিক্ষকদের উপর নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তোলেন।

তারা বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশ জারি করে প্রত্যেক শিক্ষকের কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোভিড সংক্রমণ আটকাতে সরকারের এই নির্দেশ মেনে নিয়েছে প্রতিজন শিক্ষক। কিন্ত এই নির্দেশ বলবৎ করতে গিয়ে শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানির মুখে ফেলা হচ্ছে বলে ক্ষোভ ব্যাক্ত করেন তারা। বলেন ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষক নিজে থেকেই র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।কিন্ত এখন আবার ওই শিক্ষকদের পুনরায় ক্লাস্টার ভিত্তিক আয়োজিত কোভিড টেস্ট করার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। এখন নাকি শিক্ষকদের আরটি পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।

এই ক্ষেত্রে সৈয়দ আহমেদ প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, কোন শিক্ষক র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করিয়ে নেওয়ার পর পুনরায় আরটি পিসিআর টেস্ট করাতে বলা হচ্ছে কেন। এর পেছনের রহস্যটা কি? এর মানে কি র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের কোন বৈধতা নেই। কেবল শিক্ষকদের জন্য শুধু আরটি পিসিআর টেস্ট কেন বাধ্যতামূলক করা হল। আরও সরকারি অন্যান্য বিভাগের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কি এটা প্রযোজ্য নয়? এটা করার উদ্দেশ্যে কি কেবল শিক্ষকদের হেনস্থা করা এই রকমের একের পর এক প্রশ্ন উত্থাপন করেন সৈয়দ আহমেদ।

এছাড়াও তিনি বলেন, অনেক শিক্ষক ইতিমধ্যে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে আরটি পিসিআর টেস্ট করিয়ে নিয়েছেন।তাদের উপর আবার চাপ তৈরি করে নিজ নিজ ক্লাস্টার ভিত্তিক আয়োজিত ক্যাম্পে গিয়ে আরটি পিসিআর টেস্ট করতে বলা হচ্ছে।য়একজন শিক্ষক যদি সরকারি নির্দেশ মেনে যেকোনো সরকারি ক্যাম্পে গিয়ে নিজের সুবিধা মত কোভিড টেস্ট করিয়ে থাকে তবে এখানে আপত্তি কোথায় বলেও প্রশ্ন তোলেন।

তিনি আরও বলেন, কেবল মাত্র শিক্ষকদের বেলায় সব নিয়ম লাগু করতে দেখা যাচ্ছে। কিন্ত যেসব স্বাস্থ্য কর্মীরা শিক্ষকদের কোভিড টেস্টের জন্য যাচ্ছেন তাদের কোভিড টেস্ট কি করে নেওয়া হয়েছে বলে জানতে চান তিনি। যারা টেস্টের কাজে নিয়োজিত তাদের কোভিড পজেটিভ না নিগেটিভ সেটা শিক্ষকদের জানার অধিকার রয়েছে বলে জানান সৈয়দ আহমেদ। শিক্ষকদের সঙ্গে কোভিড টেস্টের নামে এধরণের হয়রানি একের পর এক অভিযোগ শিক্ষক সম্মিলনীর কাছে এসে পৌঁছেছে। যদি এসব হয়রানি বন্ধ করা না হয় তবে চুপ করে বসে থাকবে না শিক্ষক সম্মিলনী।সোমবার শিক্ষকদের কোভিড টেস্টের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হাইলাকান্দির শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে থাকা এডিসি আর দামের সঙ্গে দেখা করেন জিবিতেষ দাস এবং সৈয়দ আহমেদ লস্কর। শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যার কথা এদিন এডিসির কাছে তুলে ধরেন তারা। শিক্ষকদের করোনা পজেটিভ ধরা পড়লে হোম আইসোলেশনে রাখারও দাবি জানান তারা। কোন শিক্ষকের পজিটিভ ধরা পড়লে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা থাকলে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা ক্রমে শিক্ষকরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন বলে এডিসি দাম সম্মতি দিয়েছেন বলে জানান শিক্ষক নেতারা।

Related Articles

Back to top button
Close