করোনা আবহেই চোখ রাঙাচ্ছে ‘হাভানা সিনড্রোম’, কপালে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের

যুগশঙ্খ , ওয়েবডেস্কঃ করোনা ঘিরেই মানুষের জীবন বিপর্যস্ত, তার মধ্যে আবার অন্য একটি উপসর্গের কথা শোনা যাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মুখে। যার নাম ‘হাভানা সিন্ড্রোম’। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির এক আধিকারিকের শরীরে এই উপসর্গ ধরা পড়েছে। ওই আধিকারিক ভারতে আসার পর, তার শরীরে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রশাসন।
চলতি মাসে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার অধিকর্তা বিল বার্নসের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির। মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদনে এমনই দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাসখানেকের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিদেশ সফরে কোনও মার্কিন কর্তার ‘হাভানা সিন্ড্রোম’ধরা পড়ল।
সব থেকে বড় কথা এই রোগের কোনও ওষুধ এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। রহস্যময় এই রোগ নিয়ে সেভাবে কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। তবে শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। মাথা যন্ত্রণা, দুর্বলতাভাব, মাথা ঘোরা, ঘুমোনোর সমস্যা, স্নায়ুগত সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা, শ্রবণ শক্তি হারিয়ে ফেলা এই ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এর প্রধান কারণ মানসিক সমস্যা। তবে কোনও সঠিক তথ্য এখনও দিতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।
হাভানাতে এই রোগ প্রথম দেখা দেয়। সেই থেকে এই রোগের নাম হাভানা সিনড্রোম। ২০১৬ সালে কিউবাতে এই রোগের জটিলতা দেখা যায় আমেরিকান গুপ্তচরদের শরীরে। পরে রাশিয়ার কূটনীতিবিদ ও অস্ট্রিয়া, চিন সহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদের শরীরে এই সমস্যা দেখা যেতে শুরু করে। দেখা যায়, কিউবার হাভানাতে যে সমস্ত বিদেশী কূটনীতিবিদরা তাদের মধ্যেই এই ধরনের উপসর্গ প্রথম ধরা পড়ে। ২০১৬ সালের পরের বছর এই উপসর্গ দেখা দেয় চিনের দূতাবাসে। এত কূটনীতিবিদদের একসঙ্গে এই রোগের কারণে এই ধরনের উপসর্গও প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। তবে বহু চিকিৎসকের মতে এটি চিন্তা ও চাপ সংক্রান্ত একটি রোগ।