নন্দীগ্রামে রাস উৎসবে এসে শোনালেন হরিনামের মাহাত্ম্য, নিজের অবস্থান জিইয়ে রাখলেন শুভেন্দু

রাজকুমার আচার্য, নন্দীগ্রাম: শুভেন্দু অধিকারীর পরবর্তী অবস্থান কী তা নিয়ে অধীর আগ্রহে সকলে। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর সোমবার প্রথম নিজের নির্বাচন ক্ষেত্র নন্দীগ্রামে রাস উৎসবে এসে নিজের অবস্থায় জিইয়ে রেখে শোনালেন হরিনাম মাহাত্ম্য। প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে রেয়াপাড়া থেকে উৎসব কমিটি পর্যন্ত বিশাল বাইক মিছিল করে শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে আসা হয় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের রাস উৎসব মঞ্চে। শুভেন্দুর কনভয়ের সামনে ও পেছনে বিশাল বাইক মিছিল দেখতে রাস্তার দুপাশে অসংখ্য মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন শুক্রবার। রবিবার মহিষাদলে এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর সভা করেছেন। সোমবার নন্দীগ্রামে খোল বাজিয়ে রাসের কীর্তনে অংশগ্রহণ করে নিজের অবস্থান নিয়ে রহস্য জিইয়ে রেখে হরিনামের মাহাত্ম্য শোনালেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘চলুন মাস্টারমশাই ঘুড়ি বাড়ি বাড়ি’ প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি অনুব্রত মণ্ডল
নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের এই রাস উৎসব এবার ছয় বছরে পড়েছে। উৎসব মঞ্চ থেকে হরিনামের মাহাত্ম্য শোনানোর ফাঁকে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সেবক শুভেন্দু অধিকারী সব সময় আপনাদের সঙ্গে ছিল। ভবিষ্যতেও আপনাদের সঙ্গে পাবেন। আমি সব অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামে আসি। এমন কোনও অনুষ্ঠান নেই যেখানে আমি আসিনি। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান, খেলা-মেলায় আসি। কিছুদিন আগে মহাষ্টমীতে এসেছি। দীপাবলিতে এসেছি, বড়দিন থেকে ইদ, সবেতেই আসি। এই মঞ্চ থেকে রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলাম।’এদিনে তাঁর বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল রাস পালনের গুরুত্বের কথা। তিনি বলেন, ‘‘রাসের মূল মাহাত্ম্য বলে— প্রভু দর্শন দিতে আসেন ভক্তদের। প্রভু এবং ভক্তদের মিলন ঘটে মহা রাসে। এটাই হল মূল তাৎপর্য।’ নন্দীগ্রামবাসী অপেক্ষায় ছিলেন যে, আজকে হয়তো শুভেন্দুবাবুর অবস্থান নিয়ে কিছু জানা যাবে। কিন্তু নন্দীগ্রামবাসীকে হরিনামের মাহাত্ম্য শুনিয়ে নিজের অবস্থান জিইয়ে রাখলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।