সরকারি স্কুল থেকে পড়ুয়াদের চাল চুরি, প্রধান শিক্ষকের বদলির দাবি গ্রামবাসীদের
দিব্যেন্দু রায়, কাটোয়া: পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের মধ্যে প্যাকেট করে রেখে দেওয়া হয়েছিল সরকারি বরাদ্দের চাল। রাতের অন্ধকারে সেই চাল কেউ বা কারা চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গেল। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কাটোয়া-২ ব্লকের কালিকাপুর গ্রামে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মদতেই এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এই নিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীরা। কাটোয়া-২ বিডিও শমীক পানিগ্রাহী জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন- বন্ধ হল ভারতীয় রেলে খালাসি পদের নিয়োগ]
উল্লেখ্য, করোনার জেরে এখন বন্ধ হয়ে রয়েছে স্কুল। স্বভাবতই বন্ধ মিডডে মিলও। তাই পড়ুয়াদের জন্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমান খাদ্যশষ্য বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। স্কুলগুলি থেকেই বিলি করা হচ্ছে বরাদ্দ খাদ্য শষ্য। জানা গেছে, কালিকাপুর প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদেরও দেওয়ার জন্য প্যাকেটে প্যাকেটে চাল ভরে রেখে স্কুলের একটি ঘরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। এদিন সেই চাল সহ অনান্য খাদ্যশষ্য বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়ার হচ্ছিল। সেই সময় নজরে আসে ২ কেজি ওজনের ২৫ টি চালের প্যাকেট উধাও হয়ে গেছে। এই খবর জানাজানি হতে স্কুলে এসে জড়ো হন বেশ কিছু গ্রামবাসী। তাঁরা এসে দেখেন যে, ঘরে পড়ুয়াদের জন্য সরকারি বরাদ্দের খাদ্যশষ্য রাখা হয়েছিল সেই ঘরের জানালা খোলা রয়েছে। পাশাপাশি জানালার বাইরের দিকে অনেক চাল পড়ে রয়েছে।
এরপর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা প্রধান শিক্ষককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে দেয়। পাশাপাশি প্রধানশিক্ষক সুকান্ত সেনকে হেনস্থাও করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে প্রধানশিক্ষক সুকান্ত সেন নিজের বেতন থেকে সমপরিমান চাল কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুচলেকা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফেলতির অভিযোগ তুলে তাঁকে অন্যত্র বদলির জন্য বিডিওর কাছে দাবি জানান গ্রামবাসীরা।