fbpx
কলকাতাহেডলাইন

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সব পরিবার, ভোটের আগে বড় ঘোষণা মমতার

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক:  স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে এ বার সার্বজনীন করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে স্বাস্থ্য প্রকল্প শুরু হয়েছে অনেক দিন। তবে সেই প্রকল্পের সুবিধা সব পরিবার পেত না। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন ওই প্রকল্প এবার সার্বজনীন করা হল। রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য ছিল সরকারের। আরও আড়াই কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। যাঁরা কোনওরকম স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ পান না তাঁরা সবাই এই প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুযোগ পাবেন। গৃহকর্ত্রীর নামে সেই কার্ড ইস্যু করবে সরকার। তবে পরিবারের সবাই সেই সুবিধার আওতায় থাকবে। এখানে বোঝার বিষয় হল, মাথা পিছু ৫ লক্ষ টাকা বিমা নয়। পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা বিমা। তবে পরিবারের কোনও এক সদস্যের জন্য পুরো বিমার টাকা অর্থাত্‍ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিত্‍সার সুবিধা নেওয়া যাবে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, সবটাই হবে ক্যাশলেস প্রক্রিয়ায়। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও দেড় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমকে এর আওতায় এম প্যানেল করা হয়েছে। কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এতদিনে বহু পরিবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এ বার বাকি সবাই পাবেন, যাঁরা কোনওরকম স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান না। তাঁর কথায়, ‘এই ধরুন আমার রিকশাওয়ালারা, আমার টোটোওয়ালারা, আমার ইটভাটা কর্মীরা, আমার ড্রাইভাররা… সবাই পাবেন।’ কীভাবে এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর থেকে অভিযান শুরু হবে। ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পেনিং হবে। সেখানে গিয়ে আবেদন করা যাবে। তার পর কার্ড যথাসময়ে পৌঁছে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রকল্প দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অন্য রাজ্যগুলো পরে চাইলে অনুসরণ করতে পারে। তিনি এও জানিয়েছেন, এ জন্য সরকারের বছরে অতিরিক্ত আরও ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।

এদিন ফের আরও একবার একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে দাঙ্গা লাগানোর অভিযোগেও সরব হলেন তিনি। বহিরাগত তত্ত্বেও ফের জোরাল আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির রাজ্যে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে বলে সুর চড়ালেন তিনি। বহিরাগত তত্ত্বেও জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাইরে থেকে এসে যারা দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে তাদের কোনওভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও কাজ না করে রাজ্যের বিরোধিতা করাই কেন্দ্রের একমাত্র কাজ বলেও তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “রাজ্যের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে রামায়ণ, মহাভারত, বাইবেল পড়া শেষ হয়ে যাবে।” এছাড়াও বাঁকুড়ায়  জোর করে স্থানীয়দের উচ্ছেদের খবর তাঁর কাছে এসেছে বলেও জানান। রেল ওই এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত না করেই উচ্ছেদ শুরু হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আক্রমণের আরও ঝাঁজ বাড়িয়ে বিজেপিকে  ‘বস্তাপচা জঙ্গল পার্টি’ এবং ‘গারবেজ অফ লাইস’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি।

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ভ্যাকসিন আসতে বিলম্ব নিয়ে কেন্দ্রকে ফের কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী। ভ্যাকসিন নিয়ে কার্যত রাজনীতি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, “ভ্যাকসিন নিয়ে ছ’মাস ধরে নাটক হচ্ছে।” যদিও এর আগে সোমবার বাঁকুড়ার সভা থেকেও ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে একই কথা বলেছিলেন তিনি।

 

 

 

Related Articles

Back to top button
Close