
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: বিপর্যয়ের হাত থেকে এ যাত্রায় রক্ষা পেল তামিলনাডু ও পুদুচেরি। বুধবার মাঝরাতে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় নিভার ক্রমশই শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই দুই রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হলেও এখনও মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে দুই রাজ্যেরই প্রশাসন।
আগেভাগে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে দু’ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তামিলনাড়ুর কাড্ডালোর। সেখান থেকে ৫০ হাজার মানুষকে ২৩৩টি সরকারি শিবিরে পাঠানো হয়েছে। পুদুচেরিতে ঝড়ের দাপটে পড়ে গেছে বহু গাছ। রাস্তায়ঘাটে জল জমে রয়েছে। পুদুচেরি এবং কাড্ডালোরে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বিপাকে সাধারণ মানুষ। বুধবারের পর এদিনও তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করে জানানো হয়েছিল, আছড়ে পড়ার পরেই তামিলনাডু ও পুদুচেরিতে তাণ্ডব চালাতে পারে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় নিভার। সেই সতর্কবার্তায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার মধ্যরাতে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে তামিলনাড়ুর মারাক্কানামে আছড়ে পড়ে নিভার। ঝোড়ো বাতাসের আর প্রবল বৃষ্টির কারণে বহু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। তবে তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। প্রবল বৃষ্টিতে জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজ রাজ্যের ১৩টা জেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এক লক্ষের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একাধিক স্পেশ্যাল ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ রেল। এদিন সকাল নয়টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হওয়ায় সকাল দশটার পরে ফের পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
তামিলনাডুর পাশাপাশি পুদুচেরিতেও প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জরুরি পরিষেবা আর প্রশাসনিক দফতর ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনসমাগমের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরনোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।