
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: টানা কদিন ধরে ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত গুজরাট, রাজস্থান অন্ধ্রপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্য। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য একমাত্র ভরসা নৌকা। একদিকে দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, অন্যদিকে একাধিক রাজ্য প্লাবিত। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড রোগীকে হাসপাতাল পৌঁছতে ভরসা নৌকা। লাগাতার ভারি বর্ষণে গুজরাটের সুরেন্দ্রনগর জেলা প্লাবিত। জেলার ত্রিবেণী থাঙ্গা বাঁধের জল সোমবার উপচে ওঠে। পাটন এবং মেহসানা জেলাতে নিচু এলাকাগুলিতে মানুষদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে জল। ঘটনাস্থলে দুর্গতদের উদ্ধারে পৌঁছিয়েছে এনডিআরএফ। রাজকোট জেলাতেও আজি বাঁধের জল উপচে উঠেছে এবং মোতিসর বাঁধের জল বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে সোমবার সকালে বাঁধের ১৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের ঢোলপুর জেলার চম্বল নদীর জলস্তর সোমবার মধ্যরাতের মধ্যেই বিপদসীমা পেরিয়ে যাবে বলে এদিন সকালেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় জল কমিশন।
আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ রাজস্থানের বিস্তীর্ণ এলাকায় হরপা বানের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। অন্ধ্র প্রদেশেও বন্যা পরিস্থিতি ভারি বর্ষণে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গোদাবরী, সহ একাধিক নদী। রাস্তা, সেতু ভেঙে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায়, সোমবার পূর্ব গোদাবরী জেলার ডোড্ডাভরম গ্রামের ক কোভিড রোগীকে নৌকায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন পার্শ্ববর্তী নগরম গ্রামের এসআই।
দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলেও বিক্ষপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। হরিয়ানার হাথনি কুণ্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় সোমবার সকাল থেকে বাড়তে শুরু করেছে যমুনার জলস্তর।
উত্তরাখণ্ডের পৌঢ়ি গাড়োয়াল জেলায় সোমবার ভোর ৫.২০ মিনিটে ঋষিকেশ–বদ্রীনাথ সড়কে ধস নেমে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যাসী থানা এলাকার অন্তর্গত কৌডিয়ালা গ্রামের কাছে। উপর থেকে পাথর গড়িয়ে পড়লে তিনজন রাস্তার উপর থেকে ছিটকে পড়েন। দুজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। একজন এখনও পাথরের চাঁইয়ের তলায় চাপা পড়ে আছেন। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে এসডিআরএফ। জেসিবি এবং পোকল্যান্ড মেশিন এনে চলছে উদ্ধার কাজ। রবিবার রাতেও চামোলি জেলার গৌচরের কাছে ঋষিকেশ–বদ্রীনাথ সড়কে আইটিবিপি–র শিবিরের কাছে ধস নেমেছিল।